গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে জমে যাবে ডিমের মুইঠ্যা। ছবি: সংগৃহীত।
অফিস থেকে বাড়ি ফিরে রোজ ডিমের ঝোল থেকে ভাল লাগে না। মাছ-মাংস যা ছিল, তা শেষ হয়ে গিয়েছে। এ দিকে গিন্নির হুকুম, রাতের ডিনারের ব্যবস্থা তাঁর কর্তামশাইকেই করতে হবে। এখন এত রাতে অনলাইনে চিকেন অর্ডার করলে তা আসতে আসতে খিদের পেটের ইঁদুর ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়বে। কিন্তু ফ্রিজে থাকা ডিম আর আলু দিয়ে ঝোল ছাড়া আর কীই বা রাঁধা যায়? চিন্তা কী! ডিমের মুইঠ্যা বানিয়ে গিন্নিকে একেবারে চমকে দিতেই পারেন। গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে জমে যাবে।
কী ভাবে রাঁধতে হবে ডিমের মুইঠ্যা?
উপকরণ:
ডিম: ৪টি
আলু: ২টি
হলুদ গুঁড়ো: আধ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: আধ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো: আধ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো: আধ চা চামচ
টোম্যাটো কুচি: আধ কাপ
কাঁচা লঙ্কা: ২টি
পেঁয়াজ কুচি: ১ কাপ
আদা-রসুন বাটা: ২ টেবিল চামচ
ধনেপাতা: সামান্য
সর্ষের তেল: ৩ টেবিল চামচ
তেজপাতা: ১টি
শুকনো লঙ্কা: ১টি
গরম মশলা: আধ চা চামচ
ঘি: ১ টেবিল চামচ
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
চিনি: সামান্য
প্রণালী:
১) প্রথমে ডিম, আলু সেদ্ধ করে নিন।
২) এ বার ডিম সেদ্ধ, আলু সেদ্ধ, কাঁচা লঙ্কা কুচি, অল্প পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা, ধনে পাতা কুচি, বাকি সব গুঁড়ো মশলা, নুন এবং চিনি দিয়ে ভাল করে চটকে মেখে নিন। চাইলে সামান্য একটু বেসন মিশিয়ে নিতে পারেন।
৩) এ বার ওই মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট বলের মতো মুইঠ্যা তৈরি করে নিন।
৪) কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে মুইঠ্যাগুলো ভেজে তুলুন।
৫) ওই কড়াইতে আর একটু তেল দিয়ে তার মধ্যে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কার ফোড়ন দিন। গোটা গরম মশলা দিন সামান্য।
৬) বাকি পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা, টোম্যটো কুচি, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন।
৭) এর পর গুঁড়ো মশলাগুলো একে একে দিতে থাকুন। ভাল করে কষিয়ে নিন। তেল ছেড়ে এলে গরম জল দিয়ে ফুটতে দিন। এই সময়ে নুন এবং চিনি দিয়ে দিতে হবে।
৮) এ বার ভেজে রাখা মুইঠ্যাগুলো কড়াইতে দিয়ে আরও কিছু ক্ষণ ফুটতে দিন। নামানোর আগে উপর থেকে ঘি, গরম মশলা এবং ধনেপাতা ছড়িয়ে দিন।