অরিহাকে কোলে নিয়ে ধারা এবং ভবেশ শাহ (বাঁদিকে)। ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবির পোস্টার (ডানদিকে)। ছবি- সংগৃহীত
এ যেন হুবহু পরিচালক অসীমা ছিব্বার পরিচালিত ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবির প্রেক্ষাপট। তবে নরওয়ের বদলে এ ঘটনা জার্মানির। সন্তানের যথা দেখাশোনা করতে না পারার অভিযোগে জার্মানিবাসী ভারতীয় দম্পতি ভবেশ এবং ধারা শাহের থেকে বছর দুয়েক আগে কেড়ে নেওয়া হয় তাঁদের কন্যা সন্তানকে। সরকারি তরফে নানা রকম পদক্ষেপ করা হলেও শাহ দম্পতি এখনও ফিরে পাননি তাঁদের সন্তান।
২০২১ সালে ঘটনার সূত্রপাত। চিকিৎসার প্রয়োজনে সাত মাসের মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন ভবেশ এবং ধারা। সেখান থেকেই খবর দেওয়া হয় ‘চাইল্ড কেয়ার সার্ভিসেস’-এ। সে থেকেই টানা দু’বছর জার্মানিতে পালিতা মা-বাবার তত্ত্বাবধানে রয়েছে অরিহা।
নরওয়ের বাসিন্দা সাগরিকা চক্রবর্তী নিজের জীবনযুদ্ধ নিয়ে লেখা ‘দ্য জার্নি অফ আ মাদার’ বইটিকে ভিত্তি করে, রানি মুখোপাধ্যায় এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্য অভিনীত ছবি ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’-তে দেখানো হয়েছিল একা মায়ের সন্তান ফিরে পাওয়ার লড়াই। যদিও এই ধারা এবং ভবেশের লড়াই পর্দার ‘মিসেস চ্যাটার্জি’-র থেকে একটু আলাদা। মেয়েকে ফিরে পেতে বাস্তবে এই লড়াই ধারা শাহ একা লড়ছেন না। পাশে পেয়েছেন স্বামী ভবেশকেও।
একটি সাক্ষাৎকারে ধারা জানিয়েছেন, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জার্মান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। দ্রুত অরিহাকে দেশে ফেরানোর আবেদনও জানানো হয়েছে। ধারা বলেন, ‘‘ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। দ্রুত অরিহাকে দেশে ফেরানোর কথা বলা হয়েছে জার্মান প্রশাসনকে। আমরা এ বার আশার আলো দেখছি। অরিহা হয়তো সত্যিই দেশে ফিরবে।’’