প্রতীকী ছবি।
পুজোর আর বাকি মোটে এক মাস। বছরের এই সময়েই বাঙালি সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে ওঠে। মনে হয় কিছুটা হলেও ভুঁড়ি কমানো দরকার। কিন্তু ‘ডায়েট-মর্নিং ওয়াকের’ চেষ্টা শুরু করলেও একটি জায়গায় গিয়ে বাঙালি হোঁচট খায়। দুপুরে একটু ভাত না হলে যে চলে না। ভাত প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকলেও বহু দিনের অভ্যাস ছেড়ে দেওয়া সহজ নয়। নানা রকম ডায়েটের তালিকা ঘেঁটে যখন দেখা যায়, অনেকগুলিতেই ভাত বাদ, তখন আর সেই ডায়েট বেশি দিন টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। ব্যস, রোগা হওয়ার সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
কিন্তু ভাত খেয়ে ফেলছেন বলেই যে রোগা হওয়া যাবে না, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। রোগা হতে চাইলে সারা দিনে আমাদের শরীর যতটা ক্যালরি ঝরাচ্ছে, তার চেয়ে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হয়। ভাত অনেকেই এড়িয়ে যান কারণ ভাতে প্রচুর ক্যালরি থাকে। যাঁরা ‘লো কার্ব ডায়েট’ করেন, তাঁদেরও ভাত বেশ অপছন্দের। তবে ওজন কমাতে চাইলে যে ভাত রোজের খাদ্যতালিকা থেকে একদম বাদ দিতে হবে, এমন ধারণা মন থেকে সরিয়ে ফেলুন। ভাত খাওয়ারও অনেক উপকারিতা রয়েছে। ভাত এমন এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট যা সহজেই হজম হয়ে যায়। পেট অনেক ক্ষণ ভর্তি থাকে, তাই বারবার খিদের মুখে উল্টোপাল্টা খেয়ে ফেলার আশঙ্কা কমে। ভাতে কোনও রকম গ্লুটেন নেই। এবং আমাদের মতো ভ্যাপসা গরমের আবহাওয়ায় ভাত খেলে শরীর অনেকটা ঠান্ডাও থাকে।
কিন্তু রোগা হওয়ার সময়ে ভাত খেতে চাইলে কিছু নিয়ম মানতে হবে। সেগুলি জেনে নিন।
১। মেপে খান
পুষ্টিবিদদের ভাষায় যাকে বলে ‘পোর্শন কন্ট্রোল’। সহজ ভাষায়, মেপে ভাত খাওয়া। ভাতের পরিমাণ কমিয়ে দিলেই অনেকটা সমস্যা কমে যাবে। অনেকেই সাদা ভাতের বদলে ডায়েট করার সময়ে ব্রাউন রাইস খাওয়া শুরু করেন। কিন্তু সে সব না করে একটা সহজ নিময় মানলেই চলবে। ধরুন আপনি রোজ দু’মুঠো ভাত খেতেন। তার বদলে এখন থেকে রোজ এক মুঠো ভাত খান। তার সঙ্গে বাকি ডাল-তরকারির পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দিন। তা হলেই অনেক উপকার পাবেন।
২। ভাতের সঙ্গে সব্জি খান
ভাতের সঙ্গে যদি বেশি পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন, তা হলে ওজন কমাতে আরও সুবিধা হবে। তবে কাঁচা সব্জির স্যালাড খাবেন না। হয় ভাপিয়ে নিন। কিংবা রোস্ট বা গ্রিল করে নিন নানা ধরনের সব্জি। এতে পেটও ভরা থাকবে।
৩। রান্নার ধরন
ভাত সেদ্ধ করে ফ্যান ফেলে দেবেন। প্রেশার কুকারে রান্না করলে তা বসে যাবে। তাই খোলা পাত্রে করাই ভাল। ভাজা ভাত, ক্রিম বা চিজ দিয়ে ভাত রান্না করা এড়িয়ে চলুন কয়েক দিন।