দেওয়ালের সজ্জায় কী ভাবে বদল আনবেন? ছবি: শাটারস্টক
বাড়িতে ঢুকে প্রথমেই নজর পড়ে দেওয়ালের দিকে। দেওয়ারলের রং, সাজের উপর নির্ভর করে ঘরের শোভা। দামি দামি আসবাবপত্র, কার্পেট, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম— সবই ফিকে হয়ে যায় দেওয়ালের কারুকাজ ঠিক না হলে। ঘরকে নজরকাড়া করতে হলে দেওয়ালের রং বাছাই থেকে দেওয়াল সাজানোর প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ে খুব মন দিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। ঘরের সাজে বৈচিত্র আনতে দেওয়ালের সাজসজ্জাও ভীষণ জরুরি। প্রতিটি ঘরের দেওয়ালের সাজের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখাও জরুরি। কী ভাবে দেওয়ালে কারসাজি করে ঘরের ভোল বদলে দিতে পারেন, রইল হদিস।
দেওয়াল জুড়ে স্মৃতির আভাস
সুখের মুহূর্তগুলিকে ফ্রেমবন্দি করে সাজিয়ে তুলতে পারেন ঘর। শোয়ার ঘর হোক কিংবা বসার ঘরের কোনের দেওয়ালটি— পছন্দের বেশ কিছু ছবি ফ্রেম করিয়ে ঝুলিয়ে দিন দেওয়ালে। তবে মনে রাখবেন, ফ্রেমগুলির মাপ যেন একে অপরের থেকে আলাদা হয়।
আয়না দিয়েই সজ্জা
আয়না হল এমনই এক ঘর সাজানোর উপকরণ, যা দিয়ে খুব সহজেই ঘরের রূপ বদলে ফেলা যায়। সেকেলে ডিজাইন থেকে মডার্ন মিনিমালিস্ট কায়দা— পছন্দ মাফিক কিনে নিতে পারেন নানা রকমের আয়না। শোভা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেওয়ালসজ্জায় আয়না ব্যবহার করলে ছোট্ট ঘরও বড় দেখায়।
ওয়াল পেপারেই বাজিমাত
ওয়াল পেপার দিয়ে দেওয়াল সাজানোর চল নতুন নয়। তবে এখন বাজারে রকমারি ওয়াল পেপার পাওয়া যায়। দেওয়ালের আকৃতি এবং ঘরের সাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওয়াল পেপার বাছাই করা জরুরি। বসার ঘরে একটি দেওয়াল বেছে নিয়ে সেঁটে দিতে পারেন ওয়াল পেপার, ঘরের সাজে বদল আনতে এই টোটকা ভীষণ কাজের।
তাকের আধিক্য
দেওয়াল জুড়ে ছোট-বড়-মাঝারি মাপের তাক করিয়ে নিতে পারেন। সেই সব তাকে বাড়ির খুদের হাতের তৈরি কোনও ছবির ফ্রেম রাখতে পারেন। পছন্দের শোপিস, মোমদানি কিংবা অন্দরসজ্জার জন্য ব্যবহৃত কোনও গাছও রাখতে পারেন।