ছবি: প্রতীকী
স্বাস্থ্য সচেতন যাঁরা, কম তেলে রান্না করা নিয়ে তাঁদের চিন্তার শেষ নেই। শুধু কম তেল নয়, চটজলদি রান্না করতেও ননস্টিক বাসন বেশ জনপ্রিয়। আবার বাড়িতে দোসা, প্যানকেক তৈরি করতে গেলেও ননস্টিক পাত্রের প্রয়োজন পড়ে। পাত্রের গায়ে না আটকে সুন্দর ভাবে উঠে আসে এই খাবারগুলি। তবে কড়াইতে বা তাওয়ার গায়ে না আটকে সুন্দর ভাবে দোসা উঠে আসার নেপথ্যে রয়েছে ক্ষতিকর একটি রাসায়নিক। দীর্ঘ দিন ধরে এই ননস্টিকের বাসন ব্যবহার করলে, সেই বাসনে থাকা রাসায়নিক খাবারের মধ্যে মিশতে শুরু করে। যা আসলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সেই কারণের বিশেষজ্ঞরা বলেন, নির্দিষ্ট সময় অন্তর এই ধরনের বাসন পাল্টে ফেলতে। কিন্তু এই পাত্রগুলি বদলানোর সময় এসেছে কি না, তা কী করে বুঝবেন?
১) দাগ পড়ে গেলে
ননস্টিক পাত্রগুলির উপরে সাধারণত টেফলনের আস্তরণ থাকে। যা আসলে এক প্রকার রাসায়নিক। নিয়মিত মাজাঘষার ফলে টেফলনের গায়ে আঁচড় পড়ে। ফলে ওই টেফলনের মধ্যে থাকা ‘পিএফওএ’ নামক একটি রাসায়নিক খাবারে মিশে যেতে পারে। তাই পাত্রের গায়ে কোনও রকম আঁচড়ের দাগ দেখলেই বুঝতে হবে, তা বদলে ফেলার সময় এসেছে।
২) পুরনো হয়ে গেলে
এই ধরনের পাত্র সাধারণত পাঁচ বছর অন্তর পাল্টে ফেলতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। ননস্টিক পাত্রের গায়ে থাকা ‘পিএফওএ’ রান্নার সময়ে খাবারে মিশতে শুরু করার আগেই তা বদলে ফেলা উচিত।
৩) রং চটে গেলে
প্রতি দিন ব্যবহারের ফলে ননস্টিক পাত্রের রং হালকা হয়ে যেতেই পারে। কিন্তু রান্না করতে করতে এই জাতীয় পাত্রের কড়াই বা প্যানের তলা যদি কালো হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে বুঝতে হবে তা পাল্টে ফেলার সময় এসেছে। অনেক সময়ে বাসন ধুতে গিয়ে ধাক্কা লেগে বা অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বাসন তুবড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রেও ননস্টিক পাত্রটি বাদ দিতে হবে।
৪) মরচে পড়ে গেলে
ননস্টিকের বাসন তুবড়ে গেলে বা টেফলনের আস্তরণ চটে গেলে সেখানে মরচে পড়ে যেতেই পারে। যা থেকে শরীরের ক্ষতি হতেই পারে। শুধু তা-ই নয়, খাবারের স্বাদও বদলে যেতে পারে।
৬) পাত্রের গা থেকে খোসা উঠলে
ননস্টিক পাত্র এখন বিভিন্ন রঙেরও পাওয়া যায়। প্রতি দিন ব্যবহার করলে এই ধরনের পাত্র থেকে টেফলনের স্তর খোসার মতো উঠতে থাকে। এই রাসায়নিক মিশ্রিত খোসাগুলি খাবারে মিশলে তা শরীরের ক্ষতি করতে পারে।