সহজে ছাঁকনি পরিষ্কার করতে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা রাখতে পারেন। প্রতীকী ছবি।
সকালে উঠে এক কাপ চায়ে চুমুক না দিলে বাঙালির চলে না। আবার বাড়িতে অতিথি এলেও চা ছাড়া আপ্যায়ন ঠিক জমে না। মোট কথা বাঙালি জীবনের সঙ্গে চায়ের অঙ্গাঙ্গি সম্পর্ক। চায়ের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক হলেও, চা ছাঁকার ছাঁকনিটি কিন্তু মাঝেমাঝে বিড়ম্বনায় ফেলে দেয়। রোজ ব্যবহার করার ফলে ছাঁকনিতে ময়লার আস্তরণ পড়ে। সেই ছাঁকনি দিয়ে চা ছাঁকতে গিয়ে অর্ধেক ঠান্ডা হয়ে যায়। শুধু তাই নয়। ব্যাক্টেরিয়াজাত সংক্রমণের ভয়ও থেকে থাকে। চায়ের স্বাদও এর ফলে খারাপ হয়ে যায়। অনেকে বাড়িতে আবার প্লাস্টিকের ছাঁকনি ব্যবহার করা হয়। এই অভ্যাস একেবারেই ভাল নয়। এ ক্ষেত্রে স্টিলের ছাঁকনি ব্যবহার করলে ভাল। তাতে সংক্রমণের আশঙ্কা কম। যেমনই ছাঁকনি হোক, পরিষ্কার রাখাটা জরুরি। কিন্তু ছাঁকনি সহজে পরিষ্কার হতে চায় না। ভাল করে ধুয়ে, মেজে রাখলেও আবার চা ছাঁকার সময় একই সমস্যা তৈরি হয়। এতে অনেকেই বিরক্ত হয়ে পড়েন। সহজে ছাঁকনি পরিষ্কার করতে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা রাখতে পারেন।
বাসন পরিষ্কারের তরল সাবান
চা খাওয়ার পর্ব শেষ হলে চায়ের বাসনপত্র পরে ধুয়ে নেবেন ভেবে ফেলে রাখেন। দীর্ঘ ক্ষণ এ ভাবে থাকার ফলে ছাঁকনিটি শুকিয়ে যায়। ছাঁকনির জালে চায়ের গুঁড়োগুলি এঁটে থাকে। জল দিয়ে ধুলেও সহজে যেতে যায় না। এ ক্ষেত্রে ঈষদুষ্ণ গরম জলে ছাঁকনি ভিজিয়ে রাখুন। তার পর বাসন পরিষ্কারের তরল সাবান দিয়ে ভাল করে মেজে নিন। ছাঁকনির কোনায় কোনায় লেগে থাকা ময়লা দূর হবে সহজেই।
বেকিং সোডা
হেঁশেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী হল বেকিং সোডা। স্টিলের বাসন থেকে কাঠের বাসন পরিষ্কার— সবেতেই বেকিং সোডার ভূমিকা অপরিহার্য। ছাঁকনি পরিষ্কারের কাজেও লাগাতে পারেন বেকিং সোডা। একটি পাত্রে এক চামচ বেকিং সোডা এবং ঈষদুষ্ণ গরম জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এ বার একটি টুথব্রাশে করে সেই মিশ্রণটি মাখিয়ে ছাঁকনিতে ভাল করে ঘষে নিন। পরিষ্কার হবে ছাঁকনি।
অ্যালকোহল
শরীরের জন্য ক্ষতিকর হলেও, ছাঁকনি তৈরিতে অ্যালকোহল-জাতীয় পানীয় খুব কার্যকর। এ ধরনের পানীয়ে পরিষ্কার করার উপাদান থাকে। যে কোনও কিছু পরিষ্কার করতে অ্যালকোহল দারুণ উপকারী। অ্যালকোহল এবং জল ১:৪ অনুপাতে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটিতে ব্রাশ ডুবিয়ে ছাঁকনির ভিতরটি ভাল করে ঘষে নিলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।