কী ভাবে ঘর সাজালে মুগ্ধ হবে সবাই। ছবি: সংগৃহীত।
ঘরের অন্দরসজ্জা ব্যক্তির রুচির পরিচয় বহন করে। কারও পছন্দ ছিমছাম ঘর, কারও পছন্দ ঘরে ঝলমলে উজ্জ্বল সাজ, কারও পছন্দ সাবেকি, কারও পছন্দ হাল আমলের আসবাব। ঘরে প্রবেশ করার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই আপনার রুচিবোধ, পছন্দ, ভাবনাচিন্তার বিষয়ে অতিথির ধারণা জন্মায়।
বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই ধারণা তৈরি হয়:
১) ঘরের পরিচ্ছন্নতা: ঘর পরিচ্ছন্ন-পরিপাটি, না কি এলোমেলো, তা কিন্তু এক জনের সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করতে সাহায্য করে। সাধারণ ভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ঘরই মানুষ পছন্দ করেন বেশি। ধুলোবালি, নোংরা পাত্র বা এলোমেলো জিনিসপত্র এক নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারে।
২) সাজসজ্জা: ঘরের অন্দরসজ্জা ব্যক্তিত্ব ও রুচির পরিচয় বহন করে। ব্যক্তিগত পছন্দের বিভিন্ন জিনিস, ছবি এবং শিল্পকর্মগুলি আপনার আগ্রহ ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ইঙ্গিত দিতে পারে।
৩) ঘরে পোষ্য থাকলে: আপনার বাসায় যদি কোনও পোষা প্রাণীর মলমূত্রের দুর্গন্ধ থাকে, তা হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। পোষা প্রাণীর বিছানা পরিষ্কার করে রাখুন। ঘরে পোষা প্রাণীর লোম ইত্যাদি থাকলে সেগুলিও পরিষ্কার করে রাখা স্বাস্থ্যকর।
৪) গন্ধ: নিজের ঘরের গন্ধ আমরা অনেক সময় নিজেরা টের পাই না। তাই বাসায় কোনও গন্ধ থাকলে জানলা খুলে দেওয়া, ধূপ বা সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৫) আলোকসজ্জা: আলোকসজ্জা ঘরকে এক অন্য মাত্রা দিতে সাহায্য করে। ঘরে মৃদু আলো বা আলো–ছায়ার ব্যবহার অনেকের পছন্দ, আবার কেউ ঘরে উজ্জ্বল আলো পছন্দ করেন। কিন্তু, ঘরে অতিথি এলে তার পছন্দের দিকটাও খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
৬) স্নানঘর ও রান্নাঘর পরিষ্কার রাখা: স্নানঘর ও রান্নাঘর নিয়মিত পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অপরিষ্কার স্নানঘর ও রান্নাঘর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে।
তবে সর্বোপরি, অতিথিরা কেমন অনুভব করবেন, তা একেবারেই নির্ভর করে অতিথিদের প্রতি আচরণের উপর। উষ্ণ, আমন্ত্রণমূলক এবং আরামদায়ক পরিবেশ থাকলে অতিথিরা অবশ্যই একটি ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিয়েই বাড়ি ফিরবেন।