অল্প যত্নে দ্রুত বেড়ে উঠবে এমন একটি গাছ প্যাডেল প্ল্যান্ট। ছবি:শাটারস্টক।
বা়ড়ি লাগোয়া ছোট্ট উঠোনে ফুটবে ফুল, বেড়ে উঠবে বাহারি গাছ— এমন শখ থাকে অনেকেরই। কিন্তু অল্প যত্নে দ্রুত বেড়ে ওঠে, বাগানের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে পারে এমন গাছ খোঁজাও তো সহজ কথা নয়। উষ্ণ এবং আর্দ্র হাওয়া বেড়ে উঠবে, টবে লাগানো যাবে, আবার বাগানের মাটিতেও বসানো যাবে এমন কোন গাছ বাগানের শোভা বৃদ্ধি করবে তা নিয়ে তা নিয়ে ভাবনা? তা হলে বরং একটু অন্য রকম বাছাই করুন।
সেডাম অ্যাঞ্জেলিনা: সাকুলেন্ট গোত্রের এই গাছ খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে। ঠিকমতো আলো-হাওয়া পেলেই যথেষ্ট। ছোট ছোট পাতার গাছটি টবে যেমন রাখতে পারেন তেমনই বাগানে হাঁটার রাস্তার দু’পাশেও এটি বসাতে পারেন। কার্পেটের মতো দেখতে লাগবে। চাইলে বারান্দায় টবেও এটি ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। এই গাছের জন্য ৫-৬ ঘণ্টা সূর্যালোক প্রয়োজন। মাটি শুকিয়ে গেলে তবে জল দিতে হবে। বেশি জল গাছের জন্য ভাল নয়।
রুবি নেকলেস: ছোট ছোট পাতার এই গাছটি দেখলে রুবির নেকলেসের মতো মনে হয়, তা থেকেই নামকরণ। বেগনি রঙা সাকুলেন্টটির সৌন্দর্য যে কোনও বাগানের ভোল পাল্টে দিতে পারে। এই গাছে ছোট ছোট হলুদ রঙের ফুলও ফোটে। রুবি নেকলেস গাছটির বেড়ে ওঠার জন্য ছয় ঘণ্টা সূর্যোলোকের প্রয়োজন হয়। মাটির জল নিষ্কাশন ব্যবস্থাও ভাল না হলে গাছের গোড়ায় জল জমলে ক্ষতি হতে পারে। মাটি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে তবেই এই গাছে জল দিতে হয়। মূলত হালকা ঠান্ডা এবং শুষ্ক আবহাওয়া এর জন্য আদর্শ। তবে গরমের দিনেও এই গাছ বেড়ে উঠতে পারে।
ফ্ল্যাপজ্যাক: এটিও সাকুলেন্ট গোত্রের। পাতাগুলি দেখতে মোটা প্যাডেলের মতো বলে অনেকে একে প্যাডেল প্ল্যান্টও বলেন। আংশিক বা সরাসরি সূর্যালোক পড়ে এমন যে কোনও জায়গাতে গাছ বেড়ে উঠতে পারে। ফ্ল্যাপজ্যাকের জন্যও খুব বেশি দেখভালের দরকার হয় না। মাটির জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভাল হলেই চলে। গরমের দিনে সপ্তাহে এক থেকে দু’বার, শীতে দু’ সপ্তাহে একবার জল দিলেই চলে। অথচ বাগানের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে প্যাডেল প্ল্যান্ট একাই একশো।