জায়গা নিয়ে সমস্যা? কী ভাবে জুতো রাখবেন? ছবি: সংগৃহীত।
কেউ রকমারি ব্যাগ দেখলেই কিনে ফেলেন। কারও আবার শখ পোশাকের। কারও আবার নতুন, সুন্দর জুতো দেখলেই চোখ আটকে যায়। প্রয়োজন না থাকলেও কিনে ফেলেন। নানা জনের নানা শখ। কিন্তু সমস্যা হয় সেই সব রাখা নিয়ে। এই যেমন জুতো। পোশাক তবু ওয়ার্ড্রোবের সংখ্যা বাড়িয়ে, এ দিক-ও দিক জায়গা করে রাখা যায়। কিন্তু জুতো!
যতই শখের হোক না কেন, পাদুকাজোড়া অনেকেই চট করে শোয়ার ঘরের ভিতরে রাখতে চান না। কেউ কেউ শৌখিন জুতো যত্ন করেন ঠিকই, কিন্তু কোথায় রাখবেন বুঝতে পারেন না।
ইদানীং, শহরাঞ্চলে মধ্যবিত্তের থাকার জায়গা বলতে ২-৩ কামরার ফ্ল্যাট। সেখানে ঠাসা জিনিস। তার মধ্যে প্রয়োজন এবং শখের জুতো রাখবেন কোথায়?
ঘূর্ণায়মান জুতো রাখার তাক: সময় বদলাচ্ছে। চপ্পল থেকে জুতোতেও বদল আসছে। তা হলে জুতো রাখার জায়গাই বা আধুনিক হবে না কেন? অনলাইনে সহজেই পেয়ে যাবেন জুতো রাখার ঘূর্ণায়মান তাক। বিভিন্ন আকার এবং আয়তনের হয় এ গুলি। তাক বা জুতো রাখার জায়গাটি হাত দিয়ে ঘুরিয়ে নেওয়া যায়। ফলে সাজিয়ে রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় জুতো খুঁজে পেতে অসুবিধাও হয় না। এ জন্য জায়গাও বেশি লাগে না।
বসার জায়গার নীচে গোপন কুঠুরি: এক নজরে দেখলে গদিওয়ালা বসার জায়গা। কিন্তু তার নীচেই জুতো রাখার ব্যবস্থা হতে পারে। বাড়ির কোন স্থানে সেটি রাখবেন, সেই মাপমতো এখন জুতো রাখার তাক বানিয়ে নেওয়া যায়, আবার অনলাইনে কিনতেও পাওয়া যায়। হাইড্রোলিক সিস্টেম যুক্ত দেরাজ নিলে, জুতো রাখতে, বার করতে সুবিধা হবে।
জুতোর দেরাজ: জুতোর জন্য আলমারির মধ্যে দেরাজ বানিয়ে নিতে পারেন। জুতোর সংগ্রহ বেশি হলে, এই ধরনের দেরাজও কাজে আসতে পারে। অনেকে পোশাকের সঙ্গে জুতোর দেরাজ রাখতে রাখতে চান না। সে ক্ষেত্রে একেবারে আলাদা একটি মাঝারি মাপের আলমারি এ জন্য তৈরি করাতে বা কিনতে পারেন।
দেওয়ালে তাক: জায়গা বাঁচাতে দেওয়ালেই আলমারির আদলে জুতোর তাক রাখতে পারেন। তবে পাল্লা হাইড্রোলিক সিস্টিমে খোলা-বন্ধ করা যাবে এমন ভাবেই তৈরি করান। এ ক্ষেত্রে মেঝে ফাঁকাই থাকেব। দেওয়ালে আলমারি তৈরি করে নিলেই চলবে।
জুতোর বাক্স: জুতো রাখার জন্য স্বচ্ছ পাল্লার আলমারি পাওয়া যায়। যার ভিতরে জুতোর মাপে একাধিক বাক্স থাকে।