কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে বাঁচতেও এর জুড়ি মেলা ভার। ফাইল চিত্র
কারি পাতার সুন্দর গন্ধে কে মুগ্ধ হয় না বলুন? রান্নাতে ভাল স্বাদ আনার জন্য হামেশাই ব্যবহার করা হচ্ছে কারি পাতা। কেবল পকোড়ার সঙ্গেই নয়, আরও নানা ধরনের রান্নায় ব্যবহার করা হচ্ছে কারি পাতা। অনেকে কারি পাতার রস খেতেও ভালবাসেন। ভিটামিন এ, বি, সি ও বি ২-র পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই পাতা ক্যালশিয়ামেরও খুব ভাল উৎস। গ্রামীণ পরিবেশে ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হতো এই পাতা। নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে এই পাতা রাখলে, মুক্তি মিলবে অনেক সমস্যা থেকেই।
ওজন কমায়
কারি পাতা রোজ খেতে থাকুন, দেখবেন এক সময় অতিরিক্ত মেদ ঝরে গিয়েছে। এতে রয়েছে এমন উপাদান, যা শরীরে কোলেস্টরলের মাত্রা ঠিক রাখে এবং ওজন বৃদ্ধি পাওয়া আটকায়। নিজের খাবারের তালিকায় জুড়তে পারেন তাজা কারি পাতা।
পেটের সমস্যা কমায়
আমাশয়, ডায়ারিয়ার মতো সমস্যা কমায় কারি পাতা। এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে বাঁচতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এই সব সমস্যা এড়াতে খালি পেটে কারি পাতা খান। শরীরে হজমশক্তির সহায়ক উৎসেচকগুলোও যথাযথভাবে নিঃসরণ ঘটায় কারি পাতা।
মর্নিং সিকনেস ও বমি ভাব কমায়
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের মর্নিং সিকনেস ও বমি ভাবের সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় নিয়মিত কারি পাতা খেলে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
জীবাণু নাশ করে
কারি পাতায় রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা জীবাণু নাশ করে। ফলে শরীরে জীবাণুঘটিত বেশ কিছু সংক্রমণ এড়ানো যেতে পারে। এই পাতা শরীরে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকিও কমায়।
বহুমূত্র রোগের সমস্যা কমায়
গবেষণা বলছে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ যে রোগে আক্রান্ত, তার নাম বহুমূত্র রোগ। রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখে কারি পাতা।
অবসাদের সমস্যা কমায়
করোনার কারণে বেড়েছে অবসাদ। এক জায়গায় বন্দি আমরা। তাই এই সময় মনোবিদদের কাছে যাওয়াটাও বেড়েছে একই ভাবে। অহেতুক চিন্তা, উত্তেজনা, অবসাদ এই সব সমস্যা কমাবে কারি পাতা।