প্রতীকী ছবি।
শীত এসে গিয়েছে একদম দোরগোড়ায়। সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গেই একটা অদ্ভুত শীতল চাদরে মুড়ে যাচ্ছে চারপাশ। রাস্তাঘাটে লোক কমছে অন্ধকার হওয়ার পর থেকেই। শীতের পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি মনকেমন বাড়ছে গরম রুটি আর গুড়ের জন্য। ইচ্ছে করে বারবার গরম খাবার খেতে। হট চকোলেট, স্যুপ, কফির মতো পদের গুরুত্বই যেন কয়েক গুণ বেড়ে যায় এই সময়ে। কিন্তু আয়েশ করে খাওয়াদাওয়ার ইচ্ছে বাড়লেও, পাশাপাশি সর্দি-কাশির প্রবণতাও তরতর করে বাড়ে শীতকালে। যার জন্যে অনেক সময়ে চিকিত্সকদের মতামত অনুযায়ী ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সচেতন পরিবর্তন আনা প্রয়োজন খাওয়া-দাওয়াতেও। শীতকালে কিছু কিছু জিনিস রান্নায় ব্যবহার করা সব সময়েই খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম হল রসুন।
রান্নায় হামেশাই ব্যবহার হয় রসুন। কিন্তু শুধু স্বাদের জন্য নয়, শরীরের সুস্থ রাখতেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রসুন। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রা অনেক বেশি থাকে রসুনে। এর সঙ্গে থাকে ভিটামিন বি এবং সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন। শীতকালে রান্নায় রসুন ব্যবহার করলে নানা ভাবে উপকার পেতে পারেন।
সর্দি-কাশির জন্য উপযোগী
শীতকালে গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। এই সব সমস্যা থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে রসুন। সাইনাসের সমস্যা, জ্বর, ফ্লু সারানোর জন্য চিকিত্সকরা অনেক সময়েই রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সুবিধেজনক
শীতকালের অলস জীবনযাপনের মধ্যে ওজনের দিকে নজর রাখা একটু কঠিন। এই ক্ষেত্রে আপনাকে চিন্তামুক্ত করতে পারে রসুন। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মাত্রা অনেক বেশি থাকায় বিপাকের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে রসুন। ওজন কমানোর জন্য রোজ সকালে কাঁচা রসুন আর মধু খেতেই পারেন।
ফুসফুসের সুস্থতার জন্য কার্যকর
রসুন শ্বাসপ্রশ্বাসের সুবিধের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময়েই শীতকালে সর্দির জন্য বা অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার ফলে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেই সময়ে রসুন নিয়মিত খেলে ফুসফুসের জন্য তা খুবই কার্যকরী হতে পারে।
হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখে
বিপুল পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে রসুন।
হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন
মহিলাদের এস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়িয়ে হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমাতে পারে রসুন।