নিজের দোষেই টাক পড়ে যাচ্ছে না তো? ছবি: সংগৃহীত।
ঘন চুলের চাহিদা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের মধ্যেই আছে। পাতলা হোক, তবু মাথায় চুল থাকলে সেটাও শান্তির। মাথাভর্তি টাক আর কে চায়! কিন্তু না চাইতেও অনেক সময় মাথায় টাক পড়ে যায়। সেটা যে কতটা মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে ওঠে, যাঁরা ভুক্তভোগী, শুধু তাঁরাই জানেন। চুল ঝরতে শুরু করলেই তা থামাতে নানা চেষ্টা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু সমস্যার উৎস খুঁজতে কেউ আগ্রহ দেখান না। অথচ সমস্যার উৎসেই অনেক সময় লুকিয়ে থাকে সমাধান। মাথায় টাক পড়ে যাওয়ার একটি কারণ হতে পারে বংশগত। সেটা কারও হাতে নেই। তবে এ ছাড়াও টাক পড়তে পারে আরও বেশ কিছু কারণে। সেগুলি জেনে রাখলে সমস্যা এড়ানো যায়।
বাইরের খাবার খাওয়া
ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি অত্যধিক টান যে শুধু ওজন বাড়িয়ে দেয়, তা নয়। চুল ঝরার কারণও হতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার যত কম খাবেন, শরীরে পুষ্টি উপাদান তত কমতে শুরু করবে। খাদ্যাভ্যাস চুল, ত্বকের উপর উপর প্রভাব ফেলে। তাই বাইরের খাবার কম খেয়ে ঘরের খাবার বেশি খান, তাতে টাক পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমবে।
দৈনন্দিন অভ্যাস
কম ঘুমোনো, সময়ে খাবার না খাওয়া, ফ্যাট জাতীয় খাবার পরিমাণে বেশি খাওয়া, জল খাওয়া কমিয়ে— এই প্রত্যেকটি কারণে টাক পড়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ধূমপানের অত্যধিক নেশাও চুলের বৃদ্ধিতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
মানসিক অবসাদ
কাজের চাপে নিজের জন্য সময় বার করা মুশকিল হয়ে যায়। পছন্দের কোনও কাজ করার সময় পাওয়া যায় না। সারা ক্ষণ ব্যস্ততায় কাটে। তার উপর কাজের চাপ চেপে বসে মনে, মস্তিষ্কে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসা সহজ হয় না। দীর্ঘ দিন এমন চললে তার প্রভাব শরীরের উপর পরে তো বটেই। সেই সঙ্গে চুল উঠতেও শুরু করে।
চুলের সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার না করা
ত্বক এবং চুলে কী প্রসাধনী ব্যবহার করছেন, তা আদৌ আপনার জন্য উপযুক্ত কি না, তা জেনে নেওয়া জরুরি। অনেক সময় সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার না করার কারণে উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হয়। তাই প্রসাধনী নির্বাচন করতে হবে সচেতন ভাবে। ঘন হবে এমন একটি তেল ব্যবহার করতে শুরু করলেন, উল্টে চুল সব ঝরে গেল। এমন হতেই পারে। তাই কেনার আগে সতর্ক থাকা জরুরি।