Green Coffee

৫ কারণ: বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগ? বশে রাখতে চুমুক দিন গ্রিন কফির কাপে

সাধারণ ভাবে যে ধরনের কফি খাওয়া হয়, তা রোস্ট করা বা সেঁকা। দুধ, চিনি দিয়ে কড়া করে সেই সেঁকা কফি খাওয়ার চল সর্বত্রই রয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৭
Five reasons to add green coffee in your diet.

গ্রিন কফি খাবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।

সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা কাজের মাঝে কফির কাপে চুমুক না দিলে চলে না। অনেকেই বলেন, অতিরিক্ত কফি খাওয়া না কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তা সত্ত্বেও কফির ঘ্রাণ পেলে মন সে দিকেই ছোটে। তবে কফি খাওয়া না ছেড়ে যদি কফিকে স্বাস্থ্যকর করে ফেলতে পারেন, তা হলে মন্দ হয় না। তাই গ্রিন কফি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। সাধারণ ভাবে যে ধরনের কফি খাওয়া হয়, তা রোস্ট করা বা সেঁকা। দুধ, চিনি দিয়ে কড়া করে সেই সেঁকা কফি খাওয়ার চল সর্বত্রই রয়েছে। তবে রোস্ট না করা কফির বীজে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তাই তার পুষ্টিগুণ অনেক। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে রক্তে ডায়াবিটিসের পরিমাণ বশে রাখতে কফির প্রকারে বদল এনে দেখতেই পারেন।

Advertisement

১) অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট

গ্রিন কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় এতে অকালবার্ধক্য হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। ত্বক ও চুলের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোজ গ্রিন কফি খেতে পারেন।

২) ওজন নিয়ন্ত্রণ

মেদ ঝরাতে নানা ধরনের ডিটক্স পানীয় খেয়ে থাকেন অনেকে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মেদ ঝরাতে গ্রিন টি-ও বেশ জনপ্রিয়। তবে বিপাকক্রিয়ার উপর সবচেয়ে ভাল কাজ করে গ্রিন কফি। ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে এই পানীয়।

৩) কোলেস্টেরল

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে গ্রিন কফি। নিয়মিত গ্রিন কফি খেলে সামগ্রিক ভাবে হার্ট ভাল থাকে।

Five reasons to add green coffee in your diet.

ত্বক ও চুলের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোজ গ্রিন কফি খেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।

৪) টাইপ-২ ডায়াবিটিস

ডায়াবিটিসে কাবু? এ ক্ষেত্রেও গ্রিন কফি খুব উপকারী। এটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, নিয়মিত এই কফি খেলে টাইপ-২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমে।

৫) মস্তিষ্কের স্নায়ু সচল রাখতেও সাহায্য করে

নিয়মিত গ্রিন কফি খেলে মতিষ্কে নিউরোডিজেনেরেটিভ সংক্রান্ত রোগ যেমন ডিমেনশিয়া, পার্কিনসন্স, অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। এ ছাড়া, অবসাদ কাটাতেও সাহায্য করে এই পানীয়।

আরও পড়ুন
Advertisement