পেশাদার হওয়ার বৈশিষ্ট্য। ছবি: সংগৃহীত।
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে কর্মজগতের নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। তাই প্রথম পেশায় যোগ দিলে জীবন খানিকটা বদলে যায়। মানসিকতাতেও পরিবর্তন আসে। যার জেরে কাজে ভুল হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। অভিজ্ঞরা অনেকেই বলেন, কর্মক্ষেত্রে কেউই নাকি বন্ধু হন না। সে কথা যে একেবারে ভিত্তিহীন, তা-ও নয়। কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং আত্মবিশ্বাস থাকা সত্ত্বেও, পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে গেলে যে ক্ষেত্রেই কাজ করুন না কেন, দক্ষতার পাশাপাশি কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন।
১) সময়জ্ঞান
কোনও কর্মী যদি ক্রমাগত কাজে ঢুকতে দেরি করেন, তাঁর সম্পর্কে সংস্থা বা ঊর্ধ্বতনের ধারণা খারাপ হতে বাধ্য। ব্যক্তিগত কাজ, রাস্তায় যানজট বা শারীরিক সমস্যা— কারণ যাই হোক না কেন, এমন অভ্যাসে পেশাদারিত্ব বজায় থাকে না।
২) অন্ধবিশ্বাস
ব্যক্তিগত কোনও বিষয় নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা না করাই ভাল। অভিজ্ঞরা বলছেন, সহকর্মীরা কখনওই বন্ধু হতে পারেন না। তাই এই বিষয়ে সচেতন থাকা ভাল।
৩) যোগাযোগের অভাব
যে কোনও প্রকার ‘কমিউনিকেশন’ বা আলাপ-আলোচনা কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনও সমস্যার সমাধান হোক বা কোনও বিষয়ে মতানৈক্য— একমাত্র আলোচনার দ্বারাই সেগুলির সমাধান সম্ভব।
৪) সহকর্মীর সঙ্গে পরনিন্দা পরচর্চা
দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা কাজ করতে গেলে, একসঙ্গে থাকতে গেলে কাজের বাইরেও অনেক বিষয়েই কথাবার্তা হয়। সকলের আচার-ব্যবহার, কাজকর্ম ভাল না-ই লাগতে পারে। তবে তা পরনিন্দা বা পরচর্চার দিকে মোড় না নিলেই ভাল।
৫) শেষ মুহূর্তে কাজ শেষ করা
শেষ মুহূর্তের জন্য কাজ ফেলে রাখলেও তাকে পেশাদার বলে গণ্য করা যায় না। ডেডলাইনের আগের দিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করতে গিয়ে নিজের উদ্বেগ তো বাড়েই, সঙ্গে সহকর্মীদেরও অসুবিধার কারণ হয়ে উঠতে পারেন আপনি।