চিয়া বীজ খাওয়ার উপায়। ছবি: সংগৃহীত।
দেহের অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে, শরীরে বিভিন্ন খনিজের জোগান দিতে বিভিন্ন রকম খাবারের সঙ্গে বিভিন্ন রকম বীজ খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। তার মধ্যে চিয়া বীজের ভূমিকা বেশি। এই বীজ যেমন দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে, তেমন চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও এটি খাওয়া যায়। হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোজ অ্যান্টাসিড না খেয়ে চিয়া খেয়ে দেখতে পারেন। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, চিয়া বীজ জলে ভেজালে তবেই তার গুণাগুণ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সকালে খালি পেটে চিয়া ভেজানো জল খেতে গেলে অনেকেরই গা গুলিয়ে ওঠে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের জন্যও ভাল। এ ছাড়া চিয়া বীজে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট— শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে সাহায্য করে এই সব উপাদান।
কোন কোন উপায়ে খাওয়া যায় চিয়া বীজ?
১) চিয়া পুডিং
গরুর দুধ বা যে কোনও উদ্ভিজ্জ ধরনের দুধের মধ্যে ভেজানো চিয়া বীজ, মধু বা মেপ্ল সিরাপ মিশিয়ে সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিন। পরের দিন সকালে বিভিন্ন রকম ফল, বাদাম কিংবা বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন।
২) স্মুদি বা ফলের রস
ফলের রস বা স্মুদির পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যেতে পারে চিয়া মেশালে। চিয়ার মধ্যে থাকা ফাইবার এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজের জোগান দেয়। আলাদা করে খেতে ভাল না লাগলে এই বিকল্প উপায়ে খাওয়া যেতেই পারে।
৩) বেকিং
বাড়িতে তৈরি কেক, মাফিন, পাউরুটির মধ্যে ব্যবহার করাই যায় চিয়া। যাঁরা ‘এগলেস’ কেক খান, তাঁরা কেকের মিশ্রণে ডিমের বদলে জলে ভিজিয়ে রাখা চিয়া ব্যবহার করতেই পারেন।
৪) স্যালাড
মরসুমি নানা ধরনের ফলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারেন চিয়া বীজ। দেখতে তো ভাল লাগবেই, খেতেও মন্দ লাগবে না।
৫) সকালের জলখাবারে
সকালে জলখাবারে দুধ-কর্নফ্লেক্স কিংবা দুধ-ওট্স খান। এই খাবারের সঙ্গে ভেজানো চিয়া বীজ মিশিয়ে দিতে পারেন।