Indoor Plants

রাতে কিছুতেই দু’চোখের পাতা এক করতে পারছেন না? বিছানার পাশে ৫ গাছ রেখে দেখতে পারেন

এমন কিছু গাছ রয়েছে, যেগুলি ঘরের মধ্যে রাখলে সারা দিনের ক্লান্তি ভুলিয়ে, মনকে শান্ত রাখতেও সাহায্য করে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ২১:০৫
Image of plants

ঘুমপাড়ানি গাছ আছে না কি? ছবি: সংগৃহীত।

অন্দরসজ্জায় একটু সবুজের ছোঁয়া, ছোট্ট ঘরেও অন্য এক মাত্রা এনে দেয়। তবে শোভা বৃদ্ধি করাই তো গাছের কাজ নয়। এ ছাড়া, এমন কিছু গাছ রয়েছে, যেগুলি ঘরের বাতাস থেকে টক্সিন শোষণ করে, বাতাস পরিশুদ্ধ রাখতেও সাহায্য করে। তবে অভিজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু গাছ রয়েছে, যেগুলি ঘরের মধ্যে রাখলে সারা দিনের ক্লান্তি ভুলিয়ে, মনকে শান্ত রাখতেও সাহায্য করে। যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে অনিদ্রাজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরাও বিছানার পাশে কয়েকটি গাছ রেখে দেখতে পারেন।

Advertisement

১) অ্যালো ভেরা:

বায়ু পরিশুদ্ধ করতে অ্যালো ভেরার জুড়ি মেলা ভার। তাই ঘরের মধ্যে এই গাছ রাখাই যায়। গাছ সাধারণত রাতে কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, অ্যালো ভেরার ক্ষেত্রে এই নিয়ম খাটে না। এই গাছ না কি রাতেও অক্সিজেন ছড়ায়। তা ছাড়া, নিশ্চিন্তে ঘুমোতে গেলে ঘরের আবহাওয়া ঠান্ডা হওয়া প্রয়োজন। ঘরে শীতলতার ছোঁয়া আনতেও রাখা যেতে পারে অ্যালো ভেরা।

২) স্নেক প্লান্ট:

একেবারে অল্প যত্নে, সামান্য পরিচর্যায় বেড়ে উঠতে পারে স্নেক প্লান্ট। তাই ঘরের এক কোণে এই গাছ রাখা যেতে পারে। অনেকেই বলেন, বাতাস থেকে টক্সিন শোষণ করার ক্ষমতা রাখে এই স্নেক প্ল্যান্ট। যা শোয়ার ঘরের পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখে। দূষণমুক্ত ঘর ঘুমের পরিপন্থী।

৩) পিস লিলি:

নামে যেমন, কাজেও তেমন। শ্বেতশুভ্র এই পিস লিলি ঘরে রাখার পক্ষে আদর্শ একটি গাছ। মনের আরাম তো বটেই, সারা দিনের ক্লান্তি কাটিয়ে দু’চোখে ঘুম আনতে সাহায্য করে এই পিস লিলি।

Image of plants

ছবি: সংগৃহীত।

৪) স্পাইডার প্লান্ট:

স্নেক প্লান্টের মতো স্পাইডার প্লান্টও বাতাস থেকে ক্ষতিকর টক্সিন শোষণ করে ফেলতে পারে। তাই জানলার পাশে, ঘরের এক কোণে বা বিছানার পাশের টেবিলে রাখা যেতেই পারে এই গাছ। ঘুম আনার পক্ষে আদর্শ পরিবেশ তৈরি করতেও এই গাছের জুড়ি মেলা ভার।

৫) ল্যাভেন্ডার:

অ্যারোমাথেরাপি বা সুগন্ধি চিকিৎসায় ল্যাভেন্ডার অয়েলের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তবে, এই গাছও ঘরে রাখতে পারেন। ল্যাভেন্ডারের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ, স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত করতে পারলে ঘুম আসে সহজে।

Advertisement
আরও পড়ুন