সহজে ঘুমের ঘোর কাটানোর টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।
ঘুম থেকে ওঠার সময়েই যেন আরও বেশি করে চোখ জুড়ে আসে। অ্যালার্ম বন্ধ করে, পাশ ফিরে শোয়ার অভ্যাস আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বিছানার মায়া কাটিয়ে কোনও মতে উঠে বসলেও কোনও কাজ করতে ইচ্ছে করে না। শরীরটাকেও কোনও মতে বয়ে নিয়ে যেতে হয়। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ পন্থা বাতলে দিয়েছেন, নেটপ্রভাবী এবং স্নায়ু সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসক ন্যাস।
সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয় তিনি বলেছেন, একটা সময়ে তিনিও এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। ঘুম থেকে ওঠার পর অন্ততপক্ষে আধ ঘণ্টা তাঁকেও চুপ করে বসে থাকতে হত। একরাশ ক্লান্তি নিয়ে কোনও কাজেই মন দিতে পারতেন না। তবে সমস্যার উৎস খুঁজে নিজেই সমাধানের তিনটি সহজ পন্থা বার করে ফেলেছেন ন্যাস। সেগুলিই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।
সকালের ক্লান্তি কাটাতে কোন কোন পন্থা মেনে চলবেন?
১) ঘুমকে গুরুত্ব দিতে হবে:
দিনের শুরুটা ভাল হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে কত ক্ষণ ঘুমোচ্ছেন এবং ঘুমের মান কেমন— দু’টিই সমান গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই হয়তো জানেন, সুস্থ থাকতে রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি, ঘুম যেন নিরবচ্ছিন্ন হয় সে দিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
২) সক্রিয় থাকতে হবে:
রাতে ভাল ঘুম হলে পরের দিনটা সুন্দর হবে। ভাল ঘুমের জন্য শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকা বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। হালকা শরীরচর্চা, হাঁটাচলা, সাইক্লিং, সাঁতার কাটার মতো ব্যায়ামেও শারীরিক কসরত হয়। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলও উন্নত হয়।
৩) মিষ্টিজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে:
সারা দিন ধরে যা যা খাচ্ছেন তার মধ্যে অতিরিক্ত চিনি যেন না থাকে। মিষ্টি খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করতে না পারলে অন্ততপক্ষে দিনের শুরুতে এই জাতীয় খাবার এবং পানীয় খাওয়ার প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে। তা হলে দিনের শুরুতেই ক্লান্তি ঘিরে ধরবে না। সারা দিন চনমনে থাকতে হলে দিন শুরু করতে পারেন কমপ্লেক্স কার্ব এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার খেয়ে। প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে এমন খাবার, ফল বাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।