সংস্থার অধস্তন কর্মী থেকে উচ্চপদস্থ আধিকারিক, গণছাঁটাইয়ের কোপ থেকে বাদ পড়েননি কেউই। প্রতীকী ছবি।
টুইটার, মাইক্রোসফটের পর এ বার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটল গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেট। একসঙ্গে ১২ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে গুগল। কর্মীদের ছাঁটাইয়ের নোটিস পাঠানো হয়েছে। সংস্থার অধস্তন কর্মী থেকে উচ্চপদস্থ আধিকারিক, গণছাঁটাইয়ের কোপ থেকে বাদ পড়েননি কেউই।
রাত ৩টের সময় হঠাৎই অ্যাকাউন্ট বিকল করে দিয়ে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে কর্মীদের। তার পর আর বিস্তারিত কোনও তথ্য জানানো হয়নি। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। চাকরি হারানোর পর সেই অভিজ্ঞতা সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাগ করে নিয়েছেন অনেকেই।
কর্মীদের অন্ধকারে রেখে সংস্থার এই ছাঁটাই পদ্ধতিকে অনেকেই নেটফ্লিক্সের একটি ওয়েব সিরিজ ‘স্কুইড গেম’-এর সঙ্গেও তুলনা করেছেন। সম্প্রতি লিঙ্কডইনে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন ছাঁটাই হওয়া এক কর্মী। গুগলের প্রাক্তন ওই কর্মী জানিয়েছেন, চাকরি আছে কি না, তা বোঝার জন্য প্রথম ভরসা ছিল অফিসে ঢোকার ‘অ্যাক্সেস পাস’। সেটা নিয়ে লাইন দিতে হয়েছিল। পাস পাঞ্চ করলে যদি সবুজ হয়ে যায়, তা হলে চাকরি আছে। আর লাল রং হলে চাকরি নেই।
গুগল থেকে সদ্য ছাঁটাই হওয়া কর্মী লিঙ্কডিনে লিখেছেন, ‘‘পড়ে এটা স্কুইড গেম মনে হলেও, এটাই বাস্তব। শুক্রবার সকালে নিউ ইয়র্কের অফিসে গুগুলের কর্মীরা তাঁদের পাস পরীক্ষা করার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। আগে থেকে কোনও নোটিস না পাঠিয়েই অফিসের মেল অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।’’
গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই অবশ্য জানিয়েছিলেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে কর্মীদের পাশে থাকবে সংস্থা। কর্মীরা তাঁদের নোটিস পর্ব চলাকালীন সম্পূর্ণ বেতন পাবেন।