— প্রতীকী চিত্র।
স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করবেন বলে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে। নতুন একটি সিরিজ় দেখতে গিয়ে আগের রাতেও ভাল ঘুম হয়নি। তার পর সারা দিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় এক বারের জন্যও বিছানায় পিঠ ঠেকাতে পারেননি। যদিও দিনের বেলা শুলেই যে খুব ঘুমোতে পারতেন, তেমনটাও নয়। কারণ, ঘরে এতটুকু আলো ঢুকলেই অস্বস্তি হয়। ঘুটঘুটে অন্ধকার না হলে ঘুমোতে পারেন না অনেকেই। অথচ সুস্থ থাকতে গেলে রাতে অন্ততপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন। চিকিৎসকেরা বলেন, পর্যাপ্ত ঘুম হলে এমন অনেক রোগই ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে নানা রকম চাপ, শান্তির ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভাল ঘুম আনতে অন্ধকারের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
ঘরের সব আলো নেভানো থাকলেও আশপাশ থেকে আসা বিচ্ছুরিত আলো, মেলাটোনিন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। ঘুমের পুরো চক্রটি নির্ভর করে এই মেলাটোনিন হরমোনের উপর। স্বাভাবিক ভাবেই এই হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে, ঘুম আসতে চায় না। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শুধু আলো বা আবহ নয়। অনেকের ক্ষেত্রেই অনিদ্রার কারণ হতে পারে বয়স। আবার অত্যধিক পরিশ্রমেও ঘুম আসতে চায় না অনেকের। তাই নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের জন্য চোখে ‘আই মাস্ক’ ব্যবহার করা জরুরি।
চোখে মাস্ক দিয়ে ঘুমোলে কী কী উপকার হয়?
১) ত্বকে রক্ত চলাচল ভাল হয়
২) মানসিক চাপ, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করে
৩) ঘুমের মান উন্নত করে
৪) চোখের তলায় ফোলা ভাব কমায়
৫) শারীরবৃত্তীয় কাজ সুষ্ঠু ভাবে করতে সাহায্য করে