প্রতারণার নতুন পন্থা। ছবি: সংগৃহীত।
অনলাইনে আর্থিক প্রতারণার ঘটনা আকছার ঘটেই চলেছে। তবে অনলাইনের আড়াল ছাড়াও সম্প্রতি জালিয়াতির অন্য এক ধরন দেখলে ইংল্যান্ডের এক রেস্তরাঁ। খাবারে ইচ্ছাকৃত চুল মিশিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু রেস্তরাঁ মালিক টম ক্রফ্টের উপস্থিত বুদ্ধি এবং তৎপরতায় ধরা পড়ল দুষ্কর্ম।
বছর পঞ্চাশের টম ওই রেস্তরাঁর শেফও। রেস্তরাঁর বেশির ভাগ খাবার তিনি নিজে হাতেই বানান। অন্য কেউ রাঁধলেও খাবার তৈরি হওয়া পর্যন্ত সেখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করেন। স্বাদের সঙ্গে কোনও আপস করেন না তিনি। কিন্তু তাঁকে যে কোনও দিন এমন একটি পরিস্থিতিতে পড়তে হবে, তা ভাবেননি তিনি।
এ দিনও রেস্তরাঁর রান্নাঘরে মগ্ন হয়ে খাবার বানাচ্ছিল টম। তত ক্ষণে অনেকেই খেতে এসেছেন। হঠাৎই বাইরে চিৎকার আওয়াজ পান তিনি। কী হয়েছে জানতে হাতের কাজ ফেলেই রান্নাঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখেন, খাবারে চুল পাওয়ায় এক গ্রাহক প্রচণ্ড রেগে গিয়ে রেস্তরাঁর কর্মীদের উপর চোটপাট করছেন। খাবারে চুল পাওয়া গিয়েছে শুনেই প্রথমে আকাশ থেকে প়ড়েন টম। দীর্ঘ ১৫ বছর রেস্তরাঁর খাবার বানাচ্ছেন তিনি। এতগুলি বছরে কেউ এই অভিযোগ তোলেননি। তাই খটকা লাগে টমের। তিনি সঙ্গে সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে যান। সেখানেই তিনি দেখতে পান কী ঘটেছে আসলে।
খাবারে চুল পাওয়ায় অভিযোগ তুলে যে যুবক হইচই করছিলেন, তিনিই আসল কালপ্রিট। পয়সা না দিয়ে খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। সেই মতো মেনুকার্ড দেখে খাবার অর্ডার করেন। খাবার আসার পর সকলের অলক্ষে একটি চুল খাবারে মিশিয়ে দেন। কিন্তু তিনি জানতেন না যে তার মাথার উপরেই সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। তার পরেই চিৎকার শুরু করেন তিনি। খাবার বদলে দেওয়ার কথা বলেন। টাকা দিতেও অস্বীকার করেন। তবে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনার পর অবশ্য ওই যুবক ক্ষমা চান টমের কাছে।