প্রতীকী ছবি।
ভারতে পাওয়া করোনার একটি প্রজাতি নিয়ে আপাতত উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার এই প্রজাতিটি প্রাণঘাতী, এর সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি। এমনকি এটি টিকার রক্ষাকবচকেও ভাঙার ক্ষমতা রাখে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে হু।
করোনার ওই প্রজাতিটির নাম বি.১.৬১৭.২। ভারতে করোনাভাইরাসের তিন বার রূপ পরিবর্তনকারী প্রজাতি অর্থাৎ বি.১.৬১৭ পাওয়া গিয়েছে। তারই একটি রূপ এটি। গত মাসে এই প্রজাতির তিনটি প্রকারভেদকেই উদ্বেগজনক ভাইরাস হিসাবে চিহ্নিত করেছিল হু। তবে মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দিয়ে হু-এর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাসের তিনটি প্রকারভেদের বাকি দু’টি ততটা বিপজ্জনক নয়। তবে বি.১.৬১৭.২ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
করনোর বিভিন্ন রূপান্তরিত প্রজাতি নিয়ে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে গোটা বিশ্বেই। ইউকে, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, ভিয়েটনাম— রোজই নতুন কোনও প্রজাতির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। তাই এই অবস্থায় নিজেদের সুরক্ষিত রাখা আরও জরুরি হয়ে পড়ছে। কী করলে সেটা সম্ভব জেনে নিন।
সামাজিক দূরত্ব
এখনও পর্যন্ত এই রোগের সঙ্গে লড়ার অন্যতম সেরা উপায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। কারণ মূলত সংক্রিমত মানুষের সংস্পর্শে এলেই সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ছে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাবেন না। খুব ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে চলুন। কোথাও গেলে অন্যদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখুন। বন্ধ ঘর বা অফিসে হাওয়া বাতাস খেলার ব্যবস্থা করুন। দরজা-জানলা খুলে রাখুন।
দু’টো মাস্ক
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে যদি বেরতে হয়, বা অন্য কোনও কাজে যদি বাড়ির বাইরে যেতেই হয় তা হলে দু’টো মাস্ক পরুন। একটা কাপড়ের মাস্কের সঙ্গে একটা সার্জিক্যাল মাস্ক। মাস্ক পরার সময় দড়ি কানের পিছনে বাংলার আটের মতো পেঁচিয়ে পরবেন। যাতে হাওয়া ঢোকার সম্ভাবনা কম থাকে।
সাবান বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন
হাত বারবার ধুতেই হবে। সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন ঘন ঘন। তা সম্ভব না হলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। মাস্ক খোলার আগে এবং মাস্ক ফেলার পর অবশ্যই হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন।
টিকাকরণ
করোনার রূপ পরিবর্তিত প্রজাতিতে প্রতিষেধক কতটা কাজ করবে, সেটা নিয়ে এখন তর্ক-বিশ্লেষণ করার সময় নয়। যে প্রতিষেধক এখন হাতের নাগালে পাচ্ছেন, অবিলম্বে সেটা নিয়ে নিন। অন্তত কিছুটা হলেও সুরক্ষিত থাকবেন। প্রতিষেধক নেওয়া থাকলে, কোভিড আক্রান্ত হলেও, তাঁর প্রভাব গুরুতর হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখুন
১৮ বছরের নীচে যাঁরা, তাঁদের জন্য এখনও কোনও টিকা ছাড়পত্র পায়নি ভারতে। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে অনেক শিশুই আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। তাই তৃতীয় তরঙ্গ আসার আগেই বাচ্চাদের আরও সাবধানে রাখুন। বাইরে গেলেই মাস্ক পরার অভ্যাস করান। বাইরে খেলতে যেতে নিষেধ করুন। বকাবকি না করে বুঝিয়ে বলুন তাদের পরিস্থিতিটা। বাড়িতে এমন অতিথি ডাকবেন না, যাঁদের থেকে সংক্রমিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।