Corona

Immunity: কোন বাসনে এবং কী ভাবে রান্না করছেন, তার উপরও নির্ভর করে আপনার প্রতিরোধশক্তি

করোনাকালে সকলেই চেষ্টা করছেন প্রতিরোধশক্তি বাড়াতে। কিন্তু শুধু মাল্টিভিটামিন ওষুধ খেলেই হবে না। খেয়াল রাখতে হবে হেঁসেলের দিকেও।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২১ ১১:২১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত

অতিমারিতে সকলেই কমবেশি স্বাস্থ্য সচেতন হয়েছেন। সকলেই চেষ্টা করছেন তাঁদের প্রতিরোধশক্তি বাড়ানোর। ‘ইমিউনিটি’ শব্দের সঙ্গে এখন ছোটরাও পরিচিত। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে অনেকেই কারি কারি মাল্টিভিটামিন ওষুধ খাচ্ছেন। জিঙ্কের ওষুধ খাচ্ছেন। কিংবা অনেক খরচ করে বিদেশি শাক-সব্জি খাচ্ছেন। কিন্তু এত কিছুর প্রয়োজন নেই! হেঁসেলেই পেয়ে যাবেন রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানোর সব রকম উপাদান। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে আরও কয়েকটি বিষয়। জেনে নিন।

কী ভাবে রান্না হচ্ছে

Advertisement

অনেকেই বলছেন, এখন বেশি তেল-মশলা দিয়ে রান্না না করাই ভাল। অথচ পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল শরীরে না গেলে, সেটাই ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। যে কোনও রিফাইন না করা তেল ব্যবহার করুন। আপনার হেঁসেলে সর্ষের তেল, ঘি, নারকেল তেল, অলিভ অয়েল বা যে কোনও খাঁটি তেল রাখুন। কোল্ড প্রেস্‌ড তেল সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। কারণ স্যাচুরেটেড, মোনো আনস্যাচুরেটেড এবং পলি স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে এই পদ্ধতিতে তেল তৈরি হলে। যেগুলো স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারি।

কীসে রান্না করছেন

রান্নাঘরে আপনার বাসনপত্রের দিকে একবার চোখ বোলান? কী ধরনের পাত্রে আপনি রান্না করতে অভ্যস্ত? অ্যালুমিনিয়াম, প্লাস্টিক, নন স্টিক বাসন একদম রাখবেন না। খাবারের সঙ্গে এই বাসনগুলির রসায়নিক পদার্থ রান্নার সময় মিশে যায় যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। তার বদলে কাস্ট আয়রন, সেরামিক, মাটি, কাচ বা স্টেনলেস স্টিলের বাসন ব্যবহার করুন।

রান্নার উপকরণ

তেল-মশলা ছাড়া রান্না একদমই চলবে না। বিশেষ করে গোটা দুনিয়া যখন ভারতীয় মশলাপাতির গুণাগুণ নিয়ে নতুন করে মেতে উঠেছে, আপনিই বা কেন পিছিয়ে থাকবেন? জিরে, হিং, হলুদ, দারচিনি, মেথি, ধনেগুঁড়ো— এই সবেরই কোনও না কোনও গুণ রয়েছে। তাই আপনার প্রিয় মশলার বাক্সটি তুলে রাখবেন না।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

রান্নাঘরের তাকে দেখুন

মশলা ছাড়াও আপনার হেঁসেলে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যেগুলো প্রতিরোধশক্তি বা়ড়াতে কার্যকরী। নানা ধরনের ডাল থাকে বাঙালির রান্নাঘরে। সেগুলো ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে রান্না করুন। প্রত্যেক ডালেই নানা রকম গুণ রয়েছে। প্রোটিন এবং ফাইবার— দুই-ই পাবেন ডালে। আচারের বয়াম রোদে দিন। প্রত্যেকদিন পাতে অল্প করে নিয়ে বসবেন। আচারে গুড ব্যাকটিরিয়া রয়েছে যা শরীরের পক্ষে ভাল। ড্রাই ফ্রুট শুধু অতিথিদের জন্য তুলে রাখবেন না। প্রত্যেকদিনের খাদ্যতালিকায় এগুলো যোগ করুন। খিদে পেলে বিস্কুট-চিপ্‌স না খেয়ে ড্রাই ফ্রুট্‌স খান।

Advertisement
আরও পড়ুন