প্রতীকী ছবি।
হাড় ভাল রাখতে ক্যালশিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া দরকার। এ কথাটি বেশ প্রচলিত। কারণ হাড়ের ক্ষয় রোধ করে তা শক্তিশালী করে তোলে ক্যালশিয়াম। কথাটি একেবারেই ভুল নয়। কিন্তু শুধুই কি ক্যালশিয়াম পেলে হাড় ভাল থাকবে? উত্তর, না। ক্যালশিয়ামের পাশাপাশি আরও কিছু পুষ্টির উপাদানের উপরও নির্ভর করছে হাড়ের স্বাস্থ্য! ছোট থেকেই পাতে রাখুন এই সব পুষ্টি উপাদান, যা পরিণত বয়সে আপনার হাড়ের যাবতীয় সমস্যা রোধ করতে পারে। কোন কোন পুষ্টির উপাদান প্রয়োজনীয়?
ভিটামিন কে
হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ভিটামিন কে প্রয়োজন। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করা প্রোটিন কার্যক্ষমতা লাভ করে এই ভিটামিন থেকেই। এমনকি, হাড়ের উপর ক্যালশিয়াম জমে যে সমস্যা হতে পারে, তা-ও নিয়ন্ত্রণ করে ভিটামিন কে। শরীর যাতে যথেষ্ট ভিটামিন কে পায়, তার জন্য পাতে রাখুন ব্রকোলি, পালং শাক, বাঁধাকপি ও লেটুস।
ভিটামিন ডি
হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় ভিটামিন ডি। এটি ক্যালশিয়াম শোষণ করে রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টির জোগান দিতে সাহায্য করে। তাই প্রতি দিন ১০-১৫ মিনিট সূর্যের আলোয় দাঁড়ান। আর পাতে রাখুন সয়াবিন, পালং শাক, স্যামন মাছ।
প্রোটিন
কেবল কোষের বৃদ্ধির জন্যই যে প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, তা নয়। বরং অতিরিক্ত প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে ও হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। এমনকি, পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে হাড় ভঙ্গুর হওয়ার আশঙ্কাও অনেকটাই কমে যায়। তাই রোজ পাতে রাখুন নানা রকমের ডাল, মটরশুঁটি, মাংস, ডিম ও দুগ্ধজাত খাবার।
ম্যাগনেশিয়াম
হাড়ের অন্তবর্তী গ্রন্থিগুলিতে প্রায় ৬০ শতাংশই ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। সমীক্ষা বলছে যাঁরা প্রতিদিন ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান, তাঁদের হাড়ের ঘনত্ব অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। এমনকি, অস্টিওপোরোসিসের মতো অসুখের ঝুঁকিও কমায় ম্যাগনেশিয়াম। তাই রোজের ডায়েটে রাখুন নানা রকম বীজ, বাদাম ও দানাশস্য।
ভিটামিন সি
হাড়ের ঠিকমতো বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন ভিটামিন সি-র। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করে। এমনকি, হাড়ের অসুখের ঝুঁকিও কমায়। তাই রোজ ডায়েটে রাখুন কমলা লেবু, টমেটো, মুসাম্বি।