(বাঁ দিকে) ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডের হেলে যাওয়া বাড়ি। বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
কলকাতার ট্যাংরায় ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়া বহুতল ভাঙতে গিয়ে বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তেই ওই হেলে পড়া বাড়িটি ভাঙার কাজ করতে যান তাঁরা। প্রথম থেকেই বাড়িটি ভাঙতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন বাসিন্দারা। মূলত বাড়ির মহিলারাই এই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা বলেন, ‘‘আমাদের বাড়ি ভেঙে দিলে আমরা কোথায় যাব? আমাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তাই প্রাণ থাকতে আমরা এই বাড়ি ছেড়ে যাব না।’’ পাশের বাড়ির বাসিন্দারাও এই বিক্ষোভে শামিল হন।
বাড়ি ভাঙতে যাতে কোনও প্রশাসনিক সমস্যা না হয়, তাই পুরসভার কর্মীদের সঙ্গে পাঠানো হয়েছিল ট্যাংরা থানার পুলিশকে। কিন্তু বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, বাড়ি ভাঙার কাজ করতে এসে পুলিশ তাঁদের সঙ্গে অভদ্র ব্যবহার করেছে। যদিও পুরসভা কর্তৃপক্ষ এবং কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত হেলে পড়া বাড়ি ভাঙার কাজ বিক্ষোভের কারণে শুরুই করতে পারেননি পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের ক্রিস্টোফার রোড এলাকায় বহুতল হেলে পড়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে পুরসভা। কারণ, বাঘাযতীনে যে বাড়িটি ভেঙে পড়েছিল, তা-ও মেয়র পারিষদ মিতালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডে। সেই কারণে গত সপ্তাহে বহুতলটি ভেঙে পড়ার ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। ট্যাংরা থানার তরফে এলাকায় মাইকিংও শুরু হয়। ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে নির্মীয়মাণ পাঁচতলা বহুতল এক দিকে হেলে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পাশেই প্রায় সমান উচ্চতার আর একটি বহুতল রয়েছে। তার গা ঘেঁষে কাত হয়ে পড়ে বহুতলটি। নির্মীয়মাণ অবস্থায় থাকায় ওই বহুতলে বাসিন্দা কেউ ছিলেন না। কিন্তু বৃহস্পতিবার বাড়িটি ভাঙতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে খানিকটা বিব্রত পুরসভার কর্মীরা।