নতুন বছরে নতুন রূপে সোনম। ছবি: সংগৃহীত।
পর্দার নায়িকা হোক কিংংবা সাধারণ মানুষ— মা হওয়ার পর জীবনে কমবেশি বদল আসে সকলেরই। তবে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসে চেহারায়। তবে চেষ্টা আর সঠিক পথে পরিশ্রম করলে পুরনো চেহারায় ফেরা যায়, বলিপাড়ায় তার অন্যতম উদাহরণ সোনম কপূর। ২০২২ সালের অগস্ট মাসে মা হয়েছেন সোনম। কিন্তু মা হওয়ার পরবর্তী যে ‘স্ট্রাগল’ সেটা শেষ হয়নি। তবে সোনমকে দেখে তা অবশ্য বোঝার উপায় নেই। ছেলের জন্মের ১৬ মাসের মাথায় নতুন রূপে ধরা দিলেন ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’র নায়িকা।
মা হওয়ার তিন মাসের মাথায় খানিকটা ওজন কমিয়ে ফেলেছিলেন ঠিকই। তবে ‘সওয়ারিয়া’ কিংবা ‘ডলি কি ডোলি’র সোনম কোথাও হারিয়ে গিয়েছিলেন। তবে হাল ছাড়েননি নায়িকা। দ্রুত রোগা হওয়ার জন্য কোনও ক্র্যাশ ডায়ে করেননি সোনম। সময় লেগেছে, তা-ও স্বাভাবিক ভাবেই পুরনো চেহারায় ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। আর সেটা করেও দেখালেন। বৃহস্পতি-সকালে ইনস্টাগ্রামের পাতায় ‘নতুন’ সোনমের ছবি দেখে তাই স্বাভাবিক ভাবেই চোখ ধাঁধিয়েছে অনুরাগীদের। সোনমের পরনে সোনালি জরির কাজ করা জমকালো লেহঙ্গা, কানে ঝোলা দুল, চুল টেনে খোঁপা করে বাঁধা আর একেবারে ছিপছিপে চেহারা— নতুন বছরের শুরুতে চমক দিলেন সোনম।
সোনম নিজেই জানিয়েছেন, তিনি কোনও ক্র্যাশ ডায়েট করেননি। রোগা হওয়ার জন্য সারা ক্ষণ জিমেও পড়ে থাকেননি। ফিট থাকতে যতটুকু শরীরচর্চা করা যায়, সেটুকু। তার চেয়ে বাড়তি কিছু করেননি। তবে নিজের যত্নে কোনও ত্রুটি রাখেনি। সেই সঙ্গে ছেলের বেশির ভাগ দায়িত্ব নিজে হাতে সামলেছেন। পরিশ্রম করেছেন, তবে আলাদা করে রোগা হওয়ার জন্য নয়। এক জন মা যতটা পরিশ্রম বিনিয়োগ করেন তাঁর সন্তানের জন্য, সোনম শুধু সেটুকুই করেছেল বলে জানিয়েছেন নায়িকা। একনিষ্ঠ ভাবে সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই কখন যে আমূল বদলে গিয়েছেন তিনি, নিজেই তা খেয়াল করেননি। তবে মা হওয়ার পর ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে কোনও খারাপ লাগা ছিল না। এগুলি জীবনের এক একটি অধ্যায়, সেটাই বিশ্বাস করেছিলেন নায়িকা। তবে দীর্ঘ দেড় বছরের একটু বেশি সময়ের পর বিশেষ কোনও চেষ্টা ছাড়াই আবার পুরনো চেহারায় ফিরে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী।