চরিত্রের আদলে নিজেকে গড়ে তুলতে সাবলীল কৃতি শ্যানন। ছবিঃ সংগৃহীত।
চরিত্র অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলতে দক্ষ বলিউড অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। বেশ কয়েকটি ছবিতে সে প্রমাণ দিয়েছেন নায়িকা। যেমন এর আগে ‘মিমি’ ছবিতে অন্তঃসত্ত্বা চরিত্রে অভিনয় করার জন্য ১৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলেন। আবার সেই ছবিরই ‘পরম সুন্দরী’ আইটেম নম্বরের জন্য অনায়াসে সেই ওজন ঝরিয়েও ফেলেছিলেন। ১৬ জুন, শুক্রবার বোধহয় তাঁর সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা। বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে ‘আদিপুরুষ’। ‘সীতা’ চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে কতটা সফল হলেন তিনি, তা বোঝা যাবে সে দিনই। তবে ছবির প্রথম ঝলকে কৃতি অবশ্য দর্শকের প্রশংসা পেয়েছেন। বড় পর্দায় সীতা রূপে নায়িকাকে দেখার জন্য অনুরাগীরা যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, তার আঁচ পাওয়া গিয়েছে সামাজিক মাধ্যমে করা বিভিন্ন পোস্টে।
বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কৃতি জানিয়েছেন, যত ক্ষণ না ছবি মুক্তি পাচ্ছে, তাঁর মধ্যেও চাপা উদ্বেগ কাজ করছে। এমন একটি মহাকাব্যিক চরিত্রের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন কৃতি। কৃতি এমনিতে যথেষ্ট ফিটনেস সচেতন। চরিত্রের আদলে নিজেকে গড়ে তুলতে তিনি সাবলীলও। ‘আদিপুরুষ’-এর শুটিং শুরুর আগেও জান লড়িয়ে দিয়েছিলেন কৃতি।
সারা বছরই ফিটনেসের দিকে তাঁর কড়া নজর থাকে। তবে ছবির জন্য আরও কঠোর রুটিনে নিজেকে বেঁধেছিলেন। ডায়েট এবং শরীরচর্চা দু’দিকেই সমান ভাবে মন দিয়েছিলেন কৃতি। জিমে গেলে অন্তত ঘণ্টা তিনেকের আগে ফিরতেন না। এক দিনে সর্বোচ্চ যতটা ঘাম ঝরানো যায়, ঝরাতেন। ক্লান্ত লাগত, কিন্তু নিজেকে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতেন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন পিলাটেস করতেন নায়িকা। ফিটনেস প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শরীরচর্চার বিশেষ অনুশীলনও করতেন।
শরীরচর্চা ছাড়াও কয়েক মাস কড়া ডায়েটে ছিলেন কৃতি। এমনিতে ১৫ দিন অন্তর একটা করে ‘চিট ডে’ মিল খান কৃতি। কিন্তু এই পর্বে, ডায়েটের তালিকায় নেই এমন কোনও খাবার দাঁতে কাটেননি। পরিমাণে অল্প হলেও কৃতির ডায়েটে ভাত এবং রুটি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে থাকত। পর্দায় ‘সীতা’ হয়ে উঠতে সে সবও বাদ দিয়েছিলেন তিনি। জলখাবার, দুপুরের খাবার বা রাতের খাবার ছাড়়া খিদে পেলে এক কাপ কর্ন কিংবা প্রোটিন শেক— এই থাকত তাঁর রোজের ডায়েটে। চিনি, নুন একেবারেই খেতেন না। শর্করার পরিমাণ বেশি এমন ফল এবং পানীয় থেকে দূরে থাকতেন। কিন্তু নায়িকার পরিশ্রম কতটা পর্দায় প্রতিফলিত হল, তা জানা শুধু সময়ের অপেক্ষা।