কাচের মতো স্বচ্ছ ত্বক পাওয়ার জন্য কোরিয়ান প্রসাধনী মাখার প্রয়োজন নেই। ছবি: সংগৃহীত।
কোরিয়ান প্রসাধনী নিয়ে মাতামাতি শুরু হয় কে ড্রামার দৌলতে। সেখানকার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দেখে ‘থ’ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। তাঁদের ত্বকের স্বচ্ছতা যেন কাচকেও হার মানায়। দাগছোপহীন, স্বচ্ছ, ত্বকের জন্য দাম দিয়ে কোরিয়ান প্রসাধনীও কিনতে শুরু করেন অনেকে। তবে রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে, হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনতে বিদেশি প্রসাধনীর উপর ভরসা করার প্রয়োজন নেই। একেবারে ঘরোয়া হল অ্যালো ভেরা এবং চিয়া বীজ। এই দু’টি উপাদান ব্যবহারেও কাচের মতো স্বচ্ছ ত্বক পাওয়া সম্ভব।
অ্যালো ভেরা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা নিরাময় করে এই ভেষজটি। ভিটামিন, খনিজ, অ্যামাইনো অ্যাসিডে সমৃদ্ধ অ্যালো ভেরা ত্বকের ক্ষত সারাতেও সাহায্য করে। চিয়া বীজও ত্বকের জন্য ভাল। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই বীজ ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকে সহজে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে না। এ ছাড়াও চিয়ায় রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদানটি ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা রুখে দিতে পারে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং কোলাজেন উৎপাদনেও চিয়ার ভূমিকা রয়েছে।
কী ভাবে এই মাস্ক তৈরি করবেন?
উপকরণ:
১ টেবিল চামচ চিয়া বীজ
২ টেবিল চামচ দুধ
১ টেবিল চামচ মধু
১ টেবিল চামচ অ্যালো ভেরা জেল
১ চা চামচ লেবুর রস
পদ্ধতি:
· প্রথমে ছোট একটি পাত্রে দুধ এবং চিয়া ভিজিয়ে রাখুন। যত ক্ষণ না দুধে চিয়া ভিজে জেলের মতো থকথকে মিশ্রণ তৈরি হচ্ছে, তত ক্ষণ অপেক্ষা করুন।
· এ বার ওই মিশ্রণে মেশান মধু এবং অ্যালো ভেরা জেল। হাতের কাছে অ্যালো ভেরা গাছ থাকলে টাটকা শাঁসও ব্যবহার করতে পারেন।
· সব শেষে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তবে যাঁদের ত্বক স্পর্শকাতর, তাঁদের পক্ষে লেবুর রস উপযুক্ত নয়।
· এ বার মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তার পর মুখে অ্যালো ভেরার প্যাক মেখে নিন। মিনিট পনেরো অপেক্ষা করুন। তার পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু’-তিন দিন মুখে এই প্যাক মাখলে ত্বকের দাগছোপ দূর হবে, ত্বকের জেল্লাও বাড়বে।