শীতে যেন পা না ফাটে। ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি রাতে পেট্রোলিয়াম জেলি বা ফুট ক্রিম ব্যবহার করা কিংবা বাইরে থেকে ঘুরে এসে ভাল করে পা ধুয়ে নেওয়াই কিন্তু, পায়ের যত্নের শেষ কথা নয়। পায়ের খেয়াল রাখতে নজর দিতে হবে জুতো বাছার ক্ষেত্রেও। সঠিক জুতো না পরলে পায়ের হাল খারাপ হয়ে যেতে পারে। আর পা সব সময় শুকনো রাখার চেষ্টা করতে হবে। শীতকাল এলেই পা ফাটতে শুরু করে। তবে কিছু নিয়ম মানলে পায়ের ত্বক থাকবে কোমল ও পরিষ্কার।
সঠিক ময়েশ্চারাইজ়ার
নারকেল তেল, অলিভ তেল কিংবা পেট্রোলিয়াম জেলি পায়ে ব্যবহার করতে পারেন ময়েশ্চারাইজ়ার হিসাবে। এতে পায়ের ত্বক নরম এবং টান টান থাকবে। তবে ময়েশ্চরাইজ়ার ব্যবহারের আগে পা গরম জলে ডুবিয়ে রেখে পামিস স্টোন দিয়ে ভাল করে ঘষে স্ক্রাব করে নিন। তার পর ময়েশ্চরাইজ়ার লাগিয়ে মোজা পরে নিন। এতে পায়ের ত্বকে জমে থাকা ময়লাও উঠে যাবে।
সুতির মোজা পরুন
পায়ের ত্বকের কথা ভেবে সুতির মোজার উপর ভরসা রাখতে পারেন। তবে দিনে একটানা সাত-আট ঘণ্টা এক মোজা পরার পর, পরের দিন আর সে মোজা পরবেন না। মোজা নোংরা না হলে বা তেমন গন্ধ না হলে অনেকেই একই মোজা পর পর দু’দিন ব্যবহার করেন। পায়ের জন্য এই অভ্যাস অত্যন্ত খারাপ। ঘাম না হলেও মোজা এক টানা পরলে পায়ে নানা ফাঙ্গাল সংক্রমণ হয়। তবে মোজা পরার আগে পা মুছে নিন। ভেজা পায়ে মোজা পরা ঠিক হবে না।
নখের যত্ন
পায়ের যত্নের পাশাপাশি নখের যত্নও নিতে হবে। নখ ঠিক ভাবে কাটতে হবে। নখ শুধু কাটলে হবে না। নখ পরিষ্কারও করতে হবে। ময়লা জমে নখের সংক্রমণ থেকেও পায়ের ত্বকও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।