Hair Care with Rice Water

ভাতের মাড়ে ঝলমলে হবে চুল! কী থাকে তাতে? কী ভাবে ব্যবহার করবেন?

ভাতের মাড়ে থাকে ইনোসাইটল বা ভিটামিন বি-৭। তা-ই চুলের জেল্লা ফেরানোর কাজ করে। এ ব্যাপারে বহু গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছেও। তাতে স্পষ্ট বলা হচ্ছে বি-৭ এর সেই ক্ষমতা আছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০৩
চালের জলেই তাজা হবে চুল।

চালের জলেই তাজা হবে চুল। ছবি : সংগৃহীত।

জলে চুন তাজা, তেলে চুল তাজা— ছোটবেলায় বলতে গেলেই জিভ জড়িয়ে যেত। ভুল করে মাঝেমধ্যে বেরিয়ে পড়ত উল্টো কথাও। জলে চুল তাজা। সমাজমাধ্যমে হঠাৎই জনপ্রিয় হওয়া চুল ভাল রাখার এক পুরনো টোটকা সেই স্মৃতিই তাজা করে দিল। কারণ, পুরনো ওই টোটকা বলছে, চালের জল দিয়ে চুল ধুলে তা সত্যিই থাকে তরতাজা। দেখায় ঝলমলেও। টোটকাটির কথা জানিয়েছিলেন এক নেটাগরিক। সেই পোস্ট ৬৭ কোটি দর্শকের নজর কেড়েছে। কী এমন অভিনব বিষয় রয়েছে ওই টোটকায়!

Advertisement

চাল ধোয়া জলে আছে কী?

চাল ধোয়া জলে আছে প্রচুর আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন। যা চুলের জন্য উপকারী। তবে তার সঙ্গে ওই জলে রয়েছে ইনোসাইটল বা ভিটামিন বি-৭। তা চুলের জেল্লা ফেরানোর কাজ করে। এ ব্যাপারে বহু গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছেও। তাতে স্পষ্ট বলা হচ্ছে বি-৭ এর ক্ষমতা আছে চুলের ফাইবারের ভিতরে প্রবেশ করে চুলকে গোড়া থেকে শক্তিশালী করার। একসঙ্গেই ফিরিয়ে আনে স্বাস্থ্যোজ্জ্বলতা। এ ছাড়াও, চালের জলে থাকে মাড়। যা চুলের শুষ্ক ভাব কমিয়ে নমনীয়তা নিয়ে আসে।

চাল ধোয়া জল দিয়ে কী ভাবে বানাবেন বিশেষ চুলের লোশন?

রান্না করার আগে হোক বা পরে, চাল বা ভাতের জলের সব সৌন্দর্যবর্ধক উপাদান বজায় থাকে। তাই লোশন বানানোর জন্য কাঁচা এবং সার ব্যবহার না করা চাল কিছুটা একটি কৌটোয় রেখে তাতে ১-২ গ্লাস ঠান্ডা জল দিন যাতে চাল পুরোটা ডোবে। এর পর ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিন যত ক্ষণ না জলটা ঘোলা হয়ে যায়। তার পরে ১২-২৪ ঘণ্টা ঢাকনা বন্ধ করে রেখে জারিত হতে দিন। এখানে যদি অর্গ্যানিক বা সারহীন চাল না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে রাসায়নিক উপাদানগুলি থেকে মুক্তি পেতে চাল একবার ধুয়ে ভেজানো যেতে পারে। নির্দিষ্ট সময় পরে জল ছেঁকে নিয়ে আলাদা পাত্রে ঢেলে রাখুন। চালটা কিন্তু ফেলে দেবেন না। ওই চাল এর পরেও খাওয়া যাবে।

আবার ভাত রান্নার পরে যে জলটা ঝরিয়ে দেওয়া হয়, সেই মাড়ের জলও চুলে লাগানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রথমে জলটা ঠান্ডা করে নিতে হবে। তার পরে রেখে দিতে হবে ১২-২৪ ঘণ্টা। তা হলেই তৈরি হবে লোশন।

কী ভাবে ব্যবহার করবেন?

চুলটা ওই জলে ভেজান। এক ঘণ্টা রেখে দিন। তার পরে সাধারণ পদ্ধতিতে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। কন্ডিশনারও লাগান। সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করলেই দ্রুত দেখতে পাবেন ফলাফল।

কতদিন রাখা যাবে চাল ধোয়া জল?

যদি পুরোটা কাজে না লাগে তা হলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করা যেতে পারে। সুবিধার জন্য একটি স্প্রে করার বোতলেও রাখা যেতে পারে ওই জল। তাতে চুল সহজে ভিজবে। নষ্টও কম হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement