(বাঁ দিকে) চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
শুল্কযুদ্ধে আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়তে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জোট বাঁধার প্রস্তাব দিয়েছিল চিন। কিন্তু সেই প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করল অস্ট্রেলিয়া। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, তাঁরা কেবল জাতীয় স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেবেন।
অস্ট্রেলিয়ায় চিনের রাষ্ট্রদূত শিয়াও কিয়ান সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, আমেরিকার ‘একাধিপত্যমূলক ব্যবহার’ বন্ধ করতে যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি। এই বিষয়ে সব দেশের এগিয়ে আসা উচিত বলেও পরোক্ষে অস্ট্রেলিয়াকে বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চিনের এই অবস্থানের শরিক যে তারা নয়, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রসঙ্গত, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের ‘একাধিপত্য’ রুখতে যে চতুর্দেশীয় অক্ষ রয়েছে, তার অন্যতম শরিক অস্ট্রেলিয়া। ‘কোয়াড’ নামের এই অক্ষে অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও রয়েছে আমেরিকা, ভারত এবং জাপান।
৯০ দিনের জন্য নয়া শুল্কনীতি স্থগিত রেখেছেন ট্রাম্প। তবে ছাড় দেননি চিনকে। বুধবার চিনা পণ্যের উপর শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ১২৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার রাতে (ভারতীয় সময় অনুসারে) জানা যায়, আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্যের উপর মোট শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ১২৫ শতাংশ নয়, ১৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানায় সংবাদমাধ্যম ‘সিএনবিসি’।
১২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি পেয়ে কেন ১৪৫ শতাংশ হল, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের এক আধিকারিক। ওই আধিকারিকের ব্যাখ্যায়, ট্রাম্পের নতুন ঘোষণায় চিনা পণ্যের উপর শুল্ক ৮৪ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১২৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে নিষিদ্ধ ওষুধ ফেন্টানাইল সংক্রান্ত বিতর্কে চিনের উপর আরও ২০ শতাংশ শুল্ক আগে থেকেই ধার্য রয়েছে। ওই ২০ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে বর্ধিত ১২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে। ফলে চিনা পণ্যে মোট শুল্কের পরিমাণ হবে ১৪৫ শতাংশ।