ত্বকের যত্নে কী ভাবে ব্যবহার করবেন ডাবের জল? ছবি: সংগৃহীত।
রাস্তায় বেরোলে মাঝেমাঝেই কানে আসে ‘লিভার টনিক’ শব্দটি। লিভারের যত্ন নেয় তো বটে, তবে ডাবের জল খেয়াল রাখে ত্বকেরও। ত্বক ভাল রাখতে কত কিছু না করেন কত জনে। নামী-দামি সংস্থার প্রসাধনীর ব্যবহার করা থেকে ঘরোয়া টোটকা— চেষ্টার খামতি রাখেন না কেউই। তা সত্ত্বেও আশানুরূপ ফল কিন্তু সব সময়ে পাওয়া যায় না। এত কিছু না করে ত্বকের খেয়াল রাখতে বরং ভরসা রাখতে পারেন ডাবের জলের উপর। এই পানীয়ের গুণেই ত্বকে আসবে আলাদা জেল্লা। অনেকেই নিয়মিত ডাবের জল খান। তবে ত্বকে যদি চান ঔজ্জ্বল্য, তা হলে কিন্তু মাখতেও হবে। ত্বকের যত্নে কী ভাবে ব্যবহার করবেন ডাবের জল?
১) রুক্ষ ত্বকের যত্নে ডাবের জলের ভূমিকা অনবদ্য। শুষ্ক ত্বকে ব্রণর পরিমাণও বেশি হয়। ব্রণর সমস্যা রুখতে ব্যবহার করতে পারেন ডাবের জল। সারা দিনে এক বার ডাবের জলে তুলো ভিজিয়ে সারা মুখে ঘষে নিন। রোজ না করলেও অন্তত এক দিন অন্তর এক দিন করতে পারেন। উপকার পাবেন।
২) নাকের ব্ল্যাকহেডস্ নিয়ে অস্বস্তিতে থাকেন? ডাবের জলেই লুকিয়ে রয়েছে তার সমাধান। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, এই ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা তাঁদের বেশি করে দেখা দেয়। এই সমস্যার চটজলদি সমাধান করতেও কিন্তু ডাবের জল ব্যবহার করতে পারেন।
৩) বর্ষায় আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়। আর্দ্রতার অভাবে ত্বক তার নিজস্ব জেল্লা হারাতে শুরু করে। ত্বকের জৌলুস হারিয়ে যায়। ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন ডাবের জলের উপর। ডাবের জল দিয়ে মুখ ধুলে সত্যিই ভাল ফল পাবেন।
৪) ডাবের জলের মধ্যে ভিটামিন সি, বি, কে, জিঙ্ক, আয়োডিনের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে। এই উপাদানগুলি ত্বকের অকালবার্ধক্যে রোধ করে। রোজের রূপরুটিনে ডাবের জল ব্যবহার করলে মুখে বয়সের ছাপ পড়ে না। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়তে থাকে।
৫) ত্বকের রোদে পোড়া দাগছোপ দূর করতেও ডাবের জল উপকারী। অনেক নামী সংস্থার প্রসাধনী মেখেও ত্বকের ট্যান যেতে চায় না। সে ক্ষেত্রে ডাবের জল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও ডাবের জলের জুড়ি মেলা ভার।