টুইঙ্কল খন্না ফাইল ছবি।
মুম্বইয়ে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রোৎসব (মামি)। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে একটি ছবির প্রিমিয়ারে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার এবং তাঁর স্ত্রী লেখিকা তথা প্রাক্তন অভিনেত্রী টুইঙ্কল খন্নাকে। দু’জনে একসঙ্গে উৎসব প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতেই চারপাশে সাড়া পড়ে গেল। এক জন তো বলেই বসলেন, ‘‘আরে, চাঁদ তো মাটিতে নেমে এসেছে!’’ দেখা গেল, অভিনেত্রীর মাথায় ঝলমল করছে রুপোর একটি বাঁকা চাঁদ।
প্রকাশ্যে কদাচিৎ ধরা দেন অক্ষয়-ঘরণি। তাঁকে বেশি পাওয়া যায় সমাজমাধ্যমে। সেখানে তাঁর পোশাকআশাক বরাবরই থাকে একাধারে স্বতন্ত্র এবং অভিজাত। পরিধানে বড় রকমের বদল এনে নজর কাড়তে কমই দেখা যায় তাঁকে। তাই মুম্বই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রোৎসবের মঞ্চে প্রাক্তন অভিনেত্রীকে ছকভাঙা সাজগোজে দেখে অবাক সকলে।
টুইঙ্কল পরেছিলেন একটি হালকা হলুদ একরঙা জমির সিল্কের শাড়ি। তাতে তামাটে জড়ির পাড়। সঙ্গের ব্লাউজ়টিও ছিল তামাটে। তবে এয়ারহস্টেস ছাঁদের। পিঠ ঢাকা, কিন্তু গলার ঝুল অনেকটাই গভীর। টুইঙ্কল খুব জমকালো সাজেননি। হাতে একটি রুপোর চওড়া কাফ আর মাথায় টান করে বাঁধা খোঁপার পাশে গুঁজে নিয়েছিলেন রুপোর বাঁকানো চাঁদখানি। চোখে গাঢ় কাজলের সঙ্গে ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক। অক্ষয় স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ছাইরঙা স্যুট আর সাদা শার্টে।
ফ্যাশন সমালোচকেরা বলছেন, টুইঙ্কল ওই একটি চাঁদেই তাবৎ শৌখিনীদের থেকে নিজের দিকে নজর কেড়ে নিয়েছেন। বলা যায়, একটা নতুন স্টেটমেন্ট তৈরি করেছেন তিনি। অনুরাগীরা আবার বলছেন, শরীর প্রদর্শন না করেও কী করে ফ্যাশন করা যায়, তা টুইঙ্কলকে দেখে শেখার মতো। একই সঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, টুইঙ্কল খানিক রোগাও হয়েছেন। প্রাক্তন অভিনেত্রী নিজে অবশ্য লিখেছেন, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে না, আমি জ্যোতির্বলয় সঙ্গে নিয়ে ঘুরছি!’’