পুজোর আগে ত্বকের যত্ন! ছবি: সংগৃহীত
পুজো মানেই প্যান্ডেল ভ্রমণ। দেদার খাওয়াদাওয়া আর প্রিয়জনের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো। বছরভর এই চারটি দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকে বাঙালি। তাই একটু সাজগোজ না করলে কি চলে? হাতে আর এক মাস সময়। কী ভাবে এই তিরিশ দিন যত্ন নেবেন ত্বকের? আগামী ৩০ দিন কী কী করলে পুজোর সময়ে ত্বক দেখাবে উজ্জ্বল?
দিন ১। প্রথমেই মৃত কোষ সরিয়ে ফেলা জরুরি। তাই ভাল কোনও স্ক্রাব দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।
দিন ২। ত্বক পরিষ্কার করা, টোন করা ও আর্দ্রতা বজায় রাখা— এই তিনটি ধাপ যে কোনও সময়ে ত্বকের চর্চার প্রাথমিক তিনটি ধাপ। তাই দিনে দু’বার ক্লিনজার, টোনার ও ময়েশ্চারইজার ব্যবহার করা শুরু করুন।
দিন ৩। বাইরে যাতায়াত থাক বা না থাক, ত্বকে সানস্ক্রিন লোশন মাখা খুবই জরুরি। তৃতীয় দিন থেকেই মাখতে শুরু করুন সানস্ক্রিন লোশন।
দিন ৪। নিয়মিত মালিশ করা শুরু করুন মুখ। এতে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।
দিন ৫। খাওয়াদাওয়া থেকেই মেলে ত্বকের পর্যাপ্ত পুষ্টি। তাই নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া শুরু করুন।
দিন ৬। রূপটানের ব্রাশ-তুলিগুলি ভাল করে পরিষ্কার করুন। একই তুলি বার বার ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হয়। তাই সাফ করে নিন।
দিন ৭। মুখে গরম জলের ভাপ নিন।
দিন ৮। দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম দিন থেকে সিরাম ব্যবহার করা শুরু করুন।
দিন ৯। দৈনিক অন্তত পাঁচ গ্লাস জল খেতেই হবে। দেহে জলের ঘাটতি দেখা দিলে রুক্ষ হয়ে যায় ত্বক।
দিন ১০। নিয়মিত মুসাম্বি কিংবা কমলালেবু খাওয়া শুরু করতে পারেন। এতে ভিটামিন সি-র ঘাটতি পূরণ হবে।
দিন ১১। খাদ্যতালিকা থেকে অতিরিক্ত শর্করাসমৃদ্ধ খাবার ছেঁটে ফেলুন। বাদ দিতে পারেন দুগ্ধজাত খাবারও।
দিন ১২। মুখে হাইড্রেটিং মাস্ক ব্যবহার করুন। আর্দ্র হবে ত্বক।
দিন ১৩। সময় মতো ঘুমাতে যান। দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমালে কমবে চোখের তলার কালি।
দিন ১৪। শুধু ঘুম নয়, চোখের তোলার কালি দূর করতে ব্যাবহার করতে পারেন চোখের নীচে লাগানোর ক্রিম।
দিন ১৫। সারা রাত হাইড্রেটিং মাস্ক পরে থাকুন।
দিন ১৬। বিছানা, বালিশ ও মুখ মোছার তোয়ালে ভাল করে পরিষ্কার করুন। পরিচ্ছন্ন থাকলে ত্বক ভাল থাকবে।
দিন ১৭। কোরিয়ান রূপচর্চার কদর ক্রমশ বাড়ছে। এই পদ্ধতিতে শুরু করতে পারেন ত্বকের চর্চা।
দিন ১৮। ঠোঁট ও ঠোঁটের চারপাশ ভাল করে স্ক্রাবার দিয়ে পরিষ্কার করুন।
দিন ১৯। বন্ধ করে দিন কফি পান করা।
দিন ২০। মুখের দাগছোপ দূর করার জন্য সাহায্য নিন কোনও ঘরোয়া ফেসপ্যাকের।
দিন ২১। বাড়িতে টি-ব্যাগ থাকলে সেই ব্যাগ মিনিট খানেকের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। তার পর ফ্রিজ থেকে বার করে চোখের চারপাশে ঘষে নিন।
দিন ২২। একটি পাত্রে বরফ নিয়ে মুখ ডুবিয়ে বরফের সেঁক নিন।
দিন ২৩। রোজের খাবারের তালিকায় রাখুন ভিটামিন পরিপোষক।
দিন ২৪। মুখে মাখার বিশেষ ধরনের তেল মাখতে পারেন। শিশুদের গায়ে মাখার তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
দিন ২৫। বিরতি নিন একটি দিন।
দিন ২৬। ফের এক বার ভাল কোনও স্ক্রাবার ব্যবহার করে পরিষ্কার করুন মুখ। করতে পারেন ডি-টক্সও।
দিন ২৭। নিজের পছন্দের যে কোনও ধরনের ফেশিয়াল করিয়ে নিন।
দিন ২৮। একটি শিট মাস্ক ব্যবহার করে ভিজিয়ে রাখুন মুখের ত্বক।
দিন ২৯। উৎসবের উদ্দীপনায় ভেসে গেলে চলবে না। তখনও পুজোর কিছু দিন বাকি থাকবে। এড়িয়ে চলুন ভাজাভুজি।
দিন ৩০। ঘুম থেকে উঠে ভাল করে পরিষ্কার করুন মুখ। দেখবেন আগের থেকে কতটা বদল এল ত্বকের ঔজ্জ্বল্যে।