সৌমিতৃষা কুন্ডু। ছবি: সংগৃহীত।
শুধু পর্দার ‘মিঠাই রানি’ নন, তিনি দর্শকের চোখের মণিও। ‘মিঠাই’ শেষ হওয়ার পর ধারাবাহিকে ফেরেননি অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডু। তবে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর। দেবের বিপরীতে ‘প্রধান’ ছবিতে অভিনয় করে তাক লাগিয়েছেন তিনি। এখন তিনি ব্যস্ত তাঁর প্রথম ওয়েব সিরিজের শুটিংয়ে। প্রতিপদ পর্যন্ত চলবে শুটিং। বিপুল ব্যস্ততার মাঝেই পুজোর সাজের পরিকল্পনা করে নিয়েছেন সৌমিতৃষা। তাঁর কাছে পুজো মানে বাড়িতে বসে নিজের মতো সময় কাটানো। এই জন্য নিজেকে তিনি ‘ঘরকুনো’ তকমা দিয়ে থাকেন। পুজোতে যে হেতু ঠাকুর দেখা কিংবা বেরোনোর বিশেষ পরিকল্পনা নেই, তাই নিজের জন্য কিছু কেনাকাটাও করেননি। সৌমিতৃষা বলেন, ‘‘আমি নিজের জন্য আলাদা করে কিছু কিনিনি ঠিকই, তবে বাবা-মা শাড়ি, সালোয়ার কিনে দিয়েছেন। পুজোয় সেগুলিই আমার অন্যতম প্রাপ্তি।’’
আত্মীয়দের থেকেও বেশ কিছু শাড়ি উপহার পেয়েছেন নায়িকা। নিজের আলমারিতেও আগে কিনে রাখা নতুন পোশাকের ঢল। তবে পুজোয় কবে, কোন দিন, নিজে কী ভাবে সাজবেন, সে সব নিয়ে বিশেষ কোনও ভাবনা নেই। শাড়ি পরে সাবেকি সাজে পুজো উদ্বোধন করতে যাবেন, সেটুকুই ভেবে রেখেছেন। তার মানে সৌমিতৃষা সাজতে ভালবাসেন না, তা নয়। তবে তার চেয়েও বেশি ভালবাসেন সাজাতে। আর তাই পুজোর পাঁচ দিনের সাজ কেমন হতে পারে, সেটা বলে দিলেন।
ষষ্ঠী
পুজোয় বৃষ্টির আশঙ্কা। তাই পোশাক বাছাই করার আগে সেটা মাথায় রাখা জরুরি। মনে করিয়ে দিলেন সৌমিতৃষা। পুজোর শুরুতে তাই শাড়ির বদলে লিনেনের কুর্তি, কো-অর্ড সেট, পালাজ়োর সঙ্গে মানানসই টপ বেছে নেওয়া যেতে পারে বলে মত অভিনেত্রীর। পোশাকের সঙ্গে আনুষঙ্গিক সাজ যেন মানানসই হয়, সেটা ভুলে গেলে চলবে না।
সপ্তমী
সপ্তমীর জন্য সৌমিতৃষার পছন্দ আনারকলি। তাঁর মতে ঠাসা কাজের গোড়ালি-ঝুল ঘের দেওয়া আনারকলি সপ্তমীর জন্য আদর্শ সাজ। কেউ সালোয়ার পরতে না চাইলে তাঁদের জন্য নায়িকার পরামর্শ শরারা। সামলানো বিশেষ ঝক্কির নয়। বৃষ্টি হোক কিংবা ঝড়— পুজোর আনন্দ মাটি হবে না।
অষ্টমী
অষ্টমীর সকাল এবং সন্ধ্যা— শাড়ি ছাড়া অন্য কোনও পোশাক ভাবনাতেই আসে না সৌমিতৃষার। অঞ্জলি হোক কিংবা সন্ধ্যা আরতি, পরনে শাড়ি ছাড়া অষ্টমীর সাজ অসম্পূর্ণ। সৌমিতৃষার মতে সকালের দিকে শিফন শাড়ি পরা যেতে পারে। চুলে গোলাপি রঙের গোলাপ গোঁজা যেতে পারে। কানে ঝোলা দুল থাকুক। গলায় কিছু না পরলেও চলবে। এই যদি হয় অষ্টমীর সকালের সাজ, তা হলে রাতে একেবারে সাবেকি সাজ হতে পারে। কেউ চাইলে আটপৌরে করে শাড়ি পরতে পারেন। চুলের সাজে একটু সাবেকি ছোঁয়া থাকতে পারে। চুল খুলে না রেখে বিনুনি করলে কিংবা গোল খোঁপা বাঁধলে যে সুন্দর দেখাবে, নিশ্চিত করলেন সৌমিতৃষা।
নবমী
পুজো শেষের পথে। সাজগোজের জন্য আর একটা দিনই বাকি। তাই নবমী নিশির সাজ হবে জমকালো। সে দিনও শাড়ির বিকল্প খুঁজে পাননি সৌমিতৃষা। নবমীর রাতের জন্য নায়িকা বেছে দিলেন অরগ্যাঞ্জা কিংবা নেটের শাড়ি। নবমীর জন্য সিল্কও বেছে নিলেও বেশ সুন্দর দেখাবে।
দশমী
দশমীর সাজ মানেই সৌমিতৃষার চোখে ভেসে ওঠে লাল-সাদা গরদের শাড়ি। সিঁদুরখেলার সাজ এর চেয়ে আর আলাদা কী হতে পারে! আবার গরদের ভারী শাড়ি সামলাতে যদি ভয় করে, তা হলে লাল কিংবা সাদা রঙের হালকা কোনও শাড়িও পরা যেতে পারে।