Fashion Tips

চেহারা ভারী বলে শাড়ি পরেন না? কোন ধরনের ব্লাউজ়ের সঙ্গে পরলে রোগা দেখাবে, রইল হদিস

হালফ্যাশনে ব্লাউজ়ের কাট অফুরান। বোটনেক, ক্রপ ব্লাউজ়, স্লিভলেস, ডিপ নেক, অফ শোল্ডার, সব্যসাচী কাট, আরও কত কী! তবে ব্লাউ‌জ়ের কাট বাছার আগে নিজের শারীরিক গঠনেও নজর দিতে হবে বইকি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৩ ১০:৩৭
(বাঁ দিকে) ঋতাভরী চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়  (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) ঋতাভরী চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

রোজের জীবনে জিন্‌স, সালোয়ার, কুর্তি-লেগিন্স স্বাচ্ছন্দ্যের হলেও কোনও উৎসব-অনুষ্ঠানে কিংবা পার্টিতে শাড়ি পরতে কিন্তু কমবেশি সব মহিলাই ভালবাসেন। দামি শাড়ি হোক কিংবা সাধারণ শাড়ি, তার সঙ্গে থাকা ব্লাউ়জ় পিস দিয়ে ব্লাউজ় না বানিয়ে এখন কিন্তু কনট্রাস্ট করে ব্লাউজ় পরার ফ্যাশন ভীষণ ‘ইন’। একটা কালো কিংবা সবুজ ডিজজ়াইনার ব্লাউজ় কিনে নিয়ে বিভিন্ন শাড়ির সঙ্গে বিভিন্ন কায়দায় পরে ফেলছেন মহিলারা। হালফ্যাশনে ব্লাউজ়ের কাটও অফুরান। বোটনেক, ক্রপ ব্লাউজ়, স্লিভলেস, ডিপ নেক, চাইনিজ় কলার, অফ শোল্ডার, সব্যসাচী কাট, আরও কত কী! তবে ব্লাউ‌জ়ের কাট বাছার আগে নিজের শারীরিক গঠনেও নজর দিতে হবে বইকি।

১) ঊর্ধ্বাঙ্গ ভারী হলে বোটনেক পরলে আরও ভারী দেখায়। সে ক্ষেত্রে বোটনেক ব্লাইজ় বানানোর সময়ে দর্জিকে গলার দিকে একটু ছড়িয়ে দিতে হবে। রোগা দেখাতে চাইলে কলার দেওয়া ব্লাউজ় বানাতে পারেন। পাফ হাতার ব্লাউজ় আবার ছিপছিপে শরীরে বেশি ভাল মানায়।

Advertisement

২) হাতে অতিরিক্ত মেদ জমলে হাতা কাটা ব্লাউজ় পরার আগে খানিকটা সচেতন হোন। হাতা কাটা ব্লাউজ়ের ফাঁক দিয়ে মেদের স্তর বেরিয়ে এলে দেখতে ভাল লাগে না। সে ক্ষেত্রে কনুই পর্যন্ত হাতাওয়ালা ব্লাউজ় বেছে নিতে পারেন। মেদ আছে বলে ফ্যাশনের সঙ্গে কোনও রকম আপস করার দরকার নেই, সে ক্ষেত্রে অফ ব্লাউজ়ও রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়।

৩) পিঠকাটা ব্লাউজ় পরতে হলে পিঠের যত্নআত্তিও জরুরি। পিঠে ট্যান পরলে কিংবা পিঠে কালচে দাগ থাকলে উৎসবে অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে পিঠে অল্প মেকআপও করে নিতে পারেন। পিঠ কাটা ব্লাউজ়ের বদলে পিঠে বিভিন্ন নকশা কাটা ব্লাউজ় পরতে পারেন। পুরো পিঠ খোলা না রেখে মাঝখানটা গোল, চৌকো, রম্বাস আকৃতির কাটিং করে নিতে পারেন। পিঠে মেদ বেশি থাকলে খুব বেশি টাইট ব্লাউজ় পরবেন না, যার উপর দিয়ে মেদ চোখে লাগে।

৪) ব্লাউজ়ের কাজও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কাঁধের কাছে কারুকাজ বেশি হলে শরীরের গড়ন চওড়া দেখায়। রোগা দেখানোর জন্য তার জায়গায় ছোট ছোট নকশা বেছে নিতে পারেন।

৫) বেনারসি হোক কিংবা কাঞ্জিভরম— অনেক সময় শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ়ের যে পিস পাওয়া যায় তাতে খুব বেশি কারুকাজ থাকে না। সে ক্ষেত্রে পিসের উপর গোটাপাত্তি কিংবা এমব্রয়ডরির কারুকাজ করিয়ে নিতে পারেন।

ব্লাউ়জ়ের কারুকাজ যতই ভাল হোক না কেন, অন্তর্বাস ভাল না পরলে কিন্তু সাজ নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ব্লাউজ়ের পাশাপাশি, ভাল অন্তর্বাসের মাপের বিষয়ে সতর্ক থাকুন। ব্লাউজ় বানানোর সময় কিন্তু একটু বেশি কাপড়ের জায়গা পাশে ছাড়তে বলবেন দর্জিকে। কাচার পর ছোট হয়ে গেলে কিংবা ভবিষ্যতে চেহারা ভারী হলে প্রয়োজন অনুযায়ী খুলেও ফেলতে পারবেন।

আরও পড়ুন
Advertisement