ঘড়ির যত্ন নিন। ছবি: সংগৃহীত।
ঘড়ির প্রতি আলাদা প্রেম থাকে অনেকেরই। সংগ্রহে থাকে একটা নয়, বেশ কয়েক জোড়া। তা সত্ত্বেও ঘড়ির দোকানে গেলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। পরনে পোশাক যেমনই হোক, কব্জিতে একটা শৌখিন ঘড়ি থাকলে সাজগোজ বদলে যায়। তবে শুধু ঘড়ি পরলে তো চলবে না, তার যত্নও নিতে হবে। না হলে সাধের ঘড়ি বিগড়ে যেতে বেশি সময় নেবে না। তা ছাড়া ঘড়ির একটু যত্নআত্তি না করলে তার উপর পুরু নোংরা জমে যায়। ঘড়ি পরিষ্কারের কিছু নিয়ম আছে, ইচ্ছামতো করলে কিন্তু চলবে না।
১. বিভিন্ন কারণে অনেক সময় ঘড়ির কাচে স্ক্র্যাচ পড়ে যায়। দ্রুত কোনও ব্যবস্থা না নিলে ঘড়ির সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এমন সমস্যায় পড়লে মসৃণ কাপড়ের টুকরোতে সামান্য মাজন বা ‘পেস্ট’ মাখিয়ে ঘড়ির কাচের স্ক্র্যাচের উপর আলতো করে ঘষুন। প্রতি দিন এটি নিয়ম করে করলে ধীরে ধীরে স্ক্র্যাচ মিলিয়ে যাবে।
২. ঘড়িতে মাজন মাখাতে না চাইলেও অসুবিধা নেই। ঘড়ির উপর হালকা দাগ ওঠাতে জুয়েলারি বাক্সের পাতলা কাপড় খুবই কাজে দেয়। স্ক্র্যাচের উপর ধীরে ধীরে পাতলা কাপড় ঘষুন। দেখবেন নোংরা আর স্ক্র্যাচ দুই-ই চলে গিয়েছে।
৩. ঘড়ির ব্যান্ড পরিষ্কার করাটাও মুখের কথা নয়। প্রথমে ঘড়ির থেকে ব্যান্ডটা খুলে নিন। এর পর ডিটারজেন্ট মেশানো জলে তা খানিক ক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। দেখবেন ব্যান্ডের ময়লা দাগ বা ছোপ উঠে গিয়েছে। কড়া দাগ ওঠাতে ব্রাশ দিয়ে ব্যান্ডটি ঘষুন। এর পর জল দিয়ে ব্যান্ডটি ধুয়ে নিন। এতে পুরনো ঘড়িও ঝকঝকে হয়ে উঠবে।