অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দরি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
বিয়ের কথা ভেবে অনেক পোশাক কেনা হয়েছে। বিয়েতে অনেক ধরনের পোশাক উপহার পেয়েছেন। তবে, সে সব মধুচন্দ্রিমায় নিয়ে যাওয়ার মতো নয়। বিয়ের পর প্রথম বার দু’জনে একসঙ্গে ঘুরতে যাবেন। যাওয়া নিয়ে এত উত্তেজনা থাকে, তাই আলাদা করে কোনও পোশাক পরিকল্পনা করার সুযোগ হয়নি। হাতে সময়ও বেশি নেই। চিন্তা কী? গরমেও সুন্দর পোশাক পরে, ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে মধুচন্দ্রিমা যাপনের টোটকা দিচ্ছেন ‘হীরামন্ডি’-র অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দরি।
১) টাই-আপ ড্রেস:
প্রিয় মানুষটির সঙ্গে প্রথম বার সমুদ্রের ধারে ঘুরতে যাবেন। মধুচন্দ্রিমা করতে গোয়ায় যান বা মলদ্বীপ, সঙ্গে কিন্তু লাল রঙের টাই-আপ ড্রেস থাকতেই পারে। ঊরু ঝুলের, বেলুন-হাতা জামার সামনের দিকে রয়েছে লাল রঙের ফিতে বাঁধা বো। পোশাকের ঝুল বেশি নয়। তাই ভিতরে মানানসই টাইট্স পরতে পারেন। লাল রঙের পোশাক জুড়েই রয়েছে সাদা রঙের ছোট ছোট সুতোর ফুল। সঙ্গে গলায় থাকতে পারে একেবারে হালকা কোনও পেন্ডেন্ট দেওয়া চেন এবং মানানসই টপ। সমুদ্রের ধারে ঘুরতে গেলে চুল খোলা না রাখাই ভাল। তার চেয়ে বরং মেসি বান বা টপনট করে রাখুন দেখতে ভাল লাগবে।
২) প্রিন্টেড রম্পার ড্রেস:
গন্তব্য যদি হয় পাহাড় বা জঙ্গল, তা হলে সঙ্গে থাকতে পারে। সাদার সঙ্গে লাল এবং বেগনি রঙের মিশেলে তৈরি রম্পার ড্রেস। এখন তো কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক আগে থেকেই ছবি তোলার পর্ব শুরু হয়ে যায়। বিমানযাত্রার সময়ে এমন পোশাক পরলে দেখতেও উজ্জ্বল লাগবে, আরামও পাবেন। আবার, পাহাড় চূড়োয় নবদম্পতিদের জন্য তৈরি বিশেষ কাচের ‘ডোম’ ঘরে বসে মোমের আলোয় ভেসে যেতেও মন্দ লাগবে না।
৩) অফ-সোল্ডার পেপ্লাম ড্রেস:
বহু দিনের শখ সোনার কেল্লা দেখতে যাওয়ার। মরুভূমির বুকে মধুচন্দ্রিমা যাপনের জন্য তৈরি বিশেষ তাঁবুতে রাত্রিবাসও করবেন। সারা দিন ঘুরে-ফিরে পূর্ণিমা রাতে বালির উপর ‘ক্যান্ডেললাইট ডিনার’ করার পরিকল্পনাও রয়েছে। মরুশহরে এমনিতেই গরম বেশি। তাই হালকা রঙের পোশাক পরাই ভাল। অদিতির মতো আপনিও পরতে পারেন ‘অফ-শোল্ডার পেপ্লাম’ ড্রেস। সাদার উপর কমলা এবং গোলাপি রঙের জ্যামিতিক ব্লক প্রিন্ট করা, হাঁটু ঝুলের পোশাক চোখেরও আরাম দেবে। হালকা মেকআপ, খোলা চুল আর কানে ‘হুপ’ দুল। ব্যস, এই সাজটুকুই যথেষ্ট।