এই গরমে বাইরে বার হলে ত্বকের সঙ্গে সঙ্গে চুলেরও বেহাল দশা হয়। ছবি: সংগৃহীত
ত্বকের যত্নের বিষয়ে কমবেশি সকলেই বেশ সচেতন থাকেন। তবে চুলের যত্নে আমরা কতটা সময় দিই— তা বলা মুশকিল! শুধু শ্যাম্পু করেই কি দায় সারা যায়? এই গরমে বাইরে বার হলে ত্বকের সঙ্গে সঙ্গে চুলেরও বেহাল দশা হয়। অনেকেই মনে করেন, প্রতিদিন শ্যাম্পু করলেই চুল ভাল থাকবে। এমনটা কিন্তু নয়, প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে তা চুল ও স্কাল্পের ক্ষতিই করে বেশি। শ্যাম্পুতে কড়া রাসায়নিক থাকে যা মাথার ত্বকের এসেনশিয়াল অয়েল ধুয়ে দেয়। ফলে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। চুল পড়ার সমস্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
শুধু নামী-দামি পণ্য ব্যবহার করলেই হবে না। চুলের পুষ্টির দিকেও নজর রাখতে হবে। ওজন ঝরাতে অনেকেই নানা ফল দিয়ে স্মুদি বানিয়ে খান। সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের স্মুদি কিন্তু চুলের পরিচর্যার জন্যেও দারুণ উপকারী।
চুলের পরিচর্যায় কোন প্রকার স্মুদি খেতে পারেন?
১) খোসা সমতে শশা টুকরো করে কেটে নিয়ে তাতে এক কাপ গ্রিক ইয়োগার্ট, সামান্য লেবুর রস, স্বাদ মতো বিটনুন আর গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। ঠান্ডা করে উপভোগ করুন এই স্মুদি। শশায় থাকে সিলিকা যা চুলের জেল্লা বাড়াবে। গ্রিক ইয়োগার্ট প্রোটিনে ভরপুর, চুলের কিউটিকলগুলির পুনর্গঠনে সাহায্য করে। আর লেবুর রস চুলে খুশকির সমস্যা দূর করবে।
২) একটি কলা, একটি সেদ্ধ করা রাঙা আলু, দু’ কাপ আমন্ড দুধ (বা যে কোনও রকমের দুধ) আর এক টেবিল চামচ প্রোটিন পাউডার একসঙ্গে মিশিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। সপ্তাহে দু’ দিন এই স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। রাঙা আলু ভিটামিন এ, বি৬, সি, ডি ও ই-তে ভরপুর। তা ছাড়াও এতে রয়েছে আয়রন, জিঙ্ক, কপার, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও নিয়াসিন— এই খনিজ পদার্থগুলি চুল পড়া রোধ করে। আমন্ড দুধ চুলের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে, খুশকির সমস্যা দূর করে এবং মাথার ত্বকে সংক্রমণ রোধ করতেও উপকারী।
৩) দু’ কাপ দুধ, চার-পাঁচটা ভিজিয়ে রাখা কাঠবাদম, এক চামচ ভিজিয়ে রাখা চিয়া বীজ, এক চামচ মধু, সামান্য দারচিনি গুঁড়ো আর এক-দু’ ফোটা ভ্যানিলা এসেন্স একসঙ্গে মিশিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। নিয়মিত এই স্মুদিটি খেলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। চুলের গোড়া মজবুত হবে। চুল পড়ার সমস্যা কমবে।