‘আদিবাসী জীবন’ অনুপ্রাণিত গয়নায় সোনম কপূর। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
কলকাতার গড়িয়াহাট বা হাতিবাগানের ফুটপাথ যেমন, মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজ় মার্কেটও অনেকটা তাই। গায়ে গায়ে দোকান। কোনওটা পোশাকের, কোনওটা ব্যাগের, কোনওটা গয়নাগাটির। জহুরির চোখ আছে যাঁদের, তাঁরা ওই ভিড়ের মধ্যে থেকেই জহরত তুলে আনেন। তা দিয়েই হয়ে ওঠেন আদর্শ শৌখিনী। প্যারিস ফ্যাশন উইকের র্যাম্পে নামার আগে সোনম কপূরও সেখান থেকেই বেছে নিলেন পছন্দের অলঙ্কার। শিল্পের দেশ ফ্রান্সের ফ্যাশন উদ্যাপনের মঞ্চে জায়গা করে নিল মুম্বইয়ের ফুটপাথে বিক্রি হওয়া গয়না। তা-ও আবার ডিয়রের মতো বিলাসবহুল আর মহার্ঘ ব্র্যান্ডের পোশাকের অনুষঙ্গ হিসাবে।
প্যারিস ফ্যাশন উইকের মঞ্চে এ বার আলো ছড়িয়েছেন বলিউডের বহু অভিনেত্রীই। সোনমের আগে আলিয়া ভট্ট, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন তাঁদের পোশাক আর গ্ল্যামারের ছটায় মুগ্ধ করেছেন ভক্তকুল এবং ফ্যাশন সমালোচকদের। প্যারিসের মঞ্চে প্রশংসা পেয়েছে সোনমের ‘ট্রাইবাল লুক’ও। ফরাসি ব্র্যান্ডের কালো পোশাকের সঙ্গে কালো বুট, রঙিন ফুলের কাজ করা কালো স্টোল আর কানে অক্সিডাইজ়ড গয়না পরেছিলেন সোনম। নাকে পরেছিলেন নোলক।
ফ্যাশন সমালোচক ‘ডায়েট সব্য’ ইনস্টাগ্রামের পাতায় জানিয়েছেন, কানের দুল আম্রপালি নামের একটি ট্রাইবাল ব্র্যান্ড থেকে কিনলেও নাকের নোলকটি সোনম কিনেছেন সান্তাক্রুজের ফুটপাথের বাজার থেকে। সোনম তাঁর সেই পোস্টের নীচে মন্তব্যও করেছেন। ডায়েট সব্যর দেওয়া তথ্য নিয়ে কোনও আপত্তি তোলেননি তিনি। বরং যা লিখেছেন তাতে স্পষ্ট, পোস্টটি ভালই লেগেছে তাঁর।
সোনমের পোশাক পরিকল্পক বা স্টাইলিস্ট ছিলেন তাঁর দিদি রিয়া কপূরই। তিনিই সোনমের বেশির ভাগ পোশাকের পরিকল্পনা করেন। তাই ধরে নেওয়া যেতে পারে, সোনমের জন্য গয়নাও বেছে নিয়েছেন তিনিই। তবে যিনিই বেছে থাকুন না কেন, ওই গয়না যে প্যারিস ফ্যাশন উইকে সোনমকে সবার থেকে আলাদা করে দিয়েছে, তা মানছেন ফ্যাশন সমালোচকেরা।