শ্রদ্ধা কপূরের স্বচ্ছ ও জেল্লাদার ত্বকের রহস্য কী? ফাইল চিত্র।
অভিনয় তো বটেই, দর্শকের নজরে শ্রদ্ধা বেশি চর্চিত তাঁর সৌন্দর্যের জন্য। খুব বেশি মেকআপ বা উগ্র সাজে কখনওই দেখা যায় না শ্রদ্ধা কপূরকে। ছিমছাম সাজে ঠিক যেন পাশের বাড়ির মেয়েটি। আর ঠিক এই কারণেই শ্রদ্ধার সৌন্দর্য মনে ধরেছে অনুগামীদের। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন যে, কোনও নামীদামি প্রসাধনী তিনি ব্যবহার করেন না। ত্বক ও চুলের যত্ন নেন একদম ঘরোয়া উপায়েই। এমনকি ত্বকের জন্য গোলাপজলের টোনারও নিজেই বাড়িতে তৈরি করে নেন। কোনওরকম রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনী তাঁর পছন্দই নয়। তা হলে শ্রদ্ধার এমন স্বচ্ছ ও জেল্লাদার ত্বকের রহস্য কী?
বাইরে থেকে এলে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া এবং নিয়মিত ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করেই ত্বক নরম ও জেল্লাদার থাকে শ্রদ্ধার। জানিয়েছেন, ত্বকের পরিচর্যায় নিয়ম করে এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করেন তিনি। ত্বকের উপরের দাগছোপ, ব্রণ, ক্ষতের দাগ, সানবার্ন— এসেনশিয়াল অয়েলের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। রোজ়মেরি, লেমন অয়েল, ক্যামোমাইল, পেপারমিন্ট, মেন্থল এসেনশিয়াল অয়েল ত্বকের জন্য খুবই ভাল।
শ্রদ্ধার কথায়, এসেনশিয়াল অয়েলের নির্যাস আসে গাছ এবং বীজ থেকে, কিন্তু সরাসরি ত্বকে লাগানোর বদলে মেশাতে হবে কোনও ক্যারিয়ার অয়েলে। আমন্ড, অলিভ, নারকেল তেল, রোজ়হিপ এবং সানফ্লাওয়ার অয়েল খুব ভাল মাধ্যম। ধরুন ১০ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল নিচ্ছেন, সেখানে ৩ থেকে ৪ চা চামচ মতো মেশাতে হবে কোনও ক্যারিয়ার অয়েল। তবে অ্যালার্জি বা চর্মরোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করা উচিত।
শ্রদ্ধার স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের আরও একটি রহস্য হল নিয়মিত শরীরচর্চা করা। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, নিয়ম করে যোগাসন অভ্যাস করেন। বিভিন্ন ধরনের আসন করেন। আর এই কারণেই তাঁকে সবসময়ে তরতাজা দেখায়। শরীর ভিতর থেকে সুস্থ ও চনমনে থাকলে, ত্বকও মসৃণ ও দীপ্তিময় দেখায়।