(বাঁ দিকে) রাধিকা মার্চেন্ট, অনামিকা খন্না (ডান দিকে)। ছবি: শাটারস্টক।
বলিপাড়া হোক কিংবা নেটপাড়া, মুকেশ অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত অম্বানীর বিয়ে নিয়ে চর্চা একেবারে তুঙ্গে। হবু স্ত্রী রাধিকার গায়েহলুদের সাজ কেমন হবে সেই নিয়ে ফ্যাশনপ্রেমীদের মধ্যে কৌতূহল ছিল বেশ। অনেক রাখঢাকের পর শেষমেশ প্রকাশ্যে এল রাধিকার গায়েহলুদের ছবি, যা নজর কেড়েছে ফ্যাশনপ্রেমীদের। রাধিকার গায়ে হলুদের সাজে ছিল কলকাতা যোগ। ভাবছেন তো কী ভাবে?
গায়েহলুদে রাধিকার পরনে ছিল হলুদ লেহঙ্গা-চোলি আর ফুলেল বেশ। রাধিকার পোশাকের সবচেয়ে নজরকাড়া দিকটি তাঁর ও়ড়নাটি। তাঁর ওড়নাটিই তৈরি করা হয়েছিল তাজা ফুল দিয়ে। বেলিফুলের কুঁড়ি দিয়ে নকশা করা ছিল গোটা ওড়নাটি আর বর্ডারে ছিল গাঁদা ফুলের কারুকাজ। রাধিকার এই সাজ হবু কনেদের জন্য নিঃসন্দেহে নয়া ‘ট্রেন্ড’ তৈরি করবে। রাধিকার এই অভিনব সাজপোশাকের নেপথ্যে ছিলেন কলকাতার কন্যা অনামিকা খন্না। পোশাকশিল্পী অনামিকাই রাধিকাকে গায়েহলুদের সাজে সাজিয়েছিলেন। কলকাতার বালিগঞ্জের মেয়ে অনামিকা। কলকাতা থেকে ফ্যাশন দুনিয়ায় যাত্রা করেই এখন তাঁর নামডাক মুম্বইয়ের প্রথম সারির পোশাকশিল্পীদের মধ্যে।
কেবল রাধিকার পোশাকই নয়, গায়েহলুদে অম্বানী বাড়ির বড় বৌ শ্লোকার পোশাকের নকশাও করেছেন অনামিকা। গায়েহলুদের দিন শ্লোকার পরনে ছিল না হলুদ পোশাক। শ্লোকা পরেছিলেন রঙিন লেহঙ্গা। লেহঙ্গা জুড়ে ছিল রঙিন সুতো আর চুমকির কারুকাজ। সঙ্গীত অনুষ্ঠানের দিন শ্লোকার লাল রঙের লেহঙ্গাটিও নকশা করেছিলেন অনামিকা।
কান চলচ্চিত্র উৎসব হোক কিংবা অম্বানীদের বিয়ে, ফ্যাশন দুনিয়ায় এখন অনামিকার কাজের চর্চা সর্বত্রই। সোনাম কপূর থেকে দীপিকা পাড়ুকোন, বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের পছন্দের পোশাকশিল্পী হয়ে উঠেছেন অনামিকা।