বিবাহবাসরে পিভি সিন্ধু এবং বেঙ্কট দত্ত সাই। ছবি: সংগৃহীত।
রাজস্থানের উদয়পুরে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন ব্যাডমিন্টন তারকা পিভি সিন্ধু। রবিবার বাল্যবন্ধু বেঙ্কট দত্ত সাইয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন তিনি। কিছু দিন আগেই হায়দরাবাদে বাগ্দান পর্ব সেরেছিলেন নিভৃতে। এ বার মরুশহরের একটি বিলাসবহুল ‘প্রাইভেট আইল্যান্ড’-এ দক্ষিণী রীতি মেনে চার হাত এক হল সিন্ধু এবং বেঙ্কটের।
দক্ষিণী বিবাহের রীতি মেনে সিন্ধু এবং বেঙ্কট, দু’জনেই বিয়ের পোশাকে রেখেছিলেন সোনালি এবং ঘিয়ে রঙের ছোঁয়া। পোশাকশিল্পী মণীশ মলহোত্রের হাতের ছোঁয়ায় সেজে উঠেছিলেন বর-কনে। মণীশের তৈরি ‘রাজবেশ’ পরেই ব্যাডমিন্টন তারকা সিন্ধু এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী বেঙ্কট একসঙ্গে পথচলা শুরু করলেন।
মণীশের ‘এভারা কালেকশন’ থেকে সোনালি এবং রুপোলি জরির ঠাসা কাজ করা ঘিয়ে রঙের জারদৌসি শাড়ি-ব্লাউজ়ে সেজেছিলেন তিনি। শাড়ির সঙ্গে রং মিলিয়ে সিন্ধু বেছে নিয়েছিলেন ঘিয়ে রঙের ভেল। তার দু’ধারে ছিল সোনালি জরির কাজ। বলিউডি ধারা বজায় রেখে মণীশ মাথার ভেল-এ লিখে দিয়েছিলেন বর-কনের নাম। সিন্ধুর বিয়ের গয়না তৈরি হয়েছে, ‘আনকাট’ হিরে এবং জ়াম্বিয়ান পান্নায়। গলায় একাধিক স্তরের হার, মাথায় টায়রা, কানে বড় ঝুমকো, হাতে চুড়ি এবং রতনচুড়— সবেতেই ছিল হিরে এবং পান্নার ছোঁয়া। সব ক’টি গয়নাই সিন্ধু বেছে নিয়েছিলেন পোশাকশিল্পীর সংগ্রহ থেকে।
পাত্র বেঙ্কট দত্ত সাইয়ের জন্যও পোশাক তৈরি করেছেন মণীশ। বিয়ের দিন পাত্রের পরনে ছিল ঘিয়ে রঙের ব্রোকেডের শেরোয়ানি। পোশাক জুড়ে ছিল রুপোলি পাতার ঠাসা কাজ। সঙ্গে ছিল সোনালি এবং রুপোলি জরির কাজ করা টিস্যু ধুতি এবং ওড়না। হিরে এবং পান্নার হার ছিল বরের গলায়।
তবে এখানেই শেষ নয়। বিয়ের মূল পর্ব রাজস্থানে মিটলেও হায়দরাবাদে নতুন বর-কনেকে নিয়ে একাধিক অনুষ্ঠান রয়েছে।