ত্বকচর্চায় কমলালেবুর খোসার গুণও কম নয়। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে কমলালেবুর জুড়ি মেলা ভার। তবে কমলালেবুর খোসার গুণও নেহাত কম নয়। কমলালেবুর খোসায় রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তা ছাড়া অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে ত্বকে যে ধরনের ক্ষতি হতে পারে, তা-ও রুখে দিতে পারে এই উপাদান। বয়ঃসন্ধিতে ব্রণের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। ঘরোয়া নিম, হলুদের প্যাকেও যদি সমস্যা দূর না হয়, সে ক্ষেত্রে কমলালেবুর খোসা কিন্তু দারুণ বিকল্প হতে পারে। আর কোন কোন উপকারে লাগে এই কমলালেবুর খোসা?
১) ব্রণ দূর করে
কমলালেবুর খোসায় এমন একটি উপাদান রয়েছে, যা ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়াগুলিকে বিনাশ করে। তা ছাড়া, মুখে সেবামের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে কমলালেবুর খোসা।
২) ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তোলে
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে কমলালেবুর খোসা। কমলালেবুর খোসার মধ্যে যে ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, তা ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
৩) উন্মুক্ত রন্ধ্র পরিষ্কার করে
ত্বকের মধ্যে থাকা গ্রন্থি থেকে তেল বা সেবাম বেরিয়ে মুখের ছোট ছোট ছিদ্রগুলি বুজিয়ে দেয়। সেখাান থেকে মুখে সংক্রমণ বাড়তে পারে। কমলালেবুর খোসায় যে ধরনের অ্যাসিড রয়েছে, তা এই ছিদ্র বা পোর্সগুলি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
৪) দাগছোপ নিরাময়ে
ব্রণ সেরে যাওয়ার পর ত্বকে অনেক সময়েই ব্রণের দাগ থেকে যায়। এই ধরনের দাগ নিরাময়ে সাহায্য করে কমলালেবুর খোসা। ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরে পেতেও সাহায্য করে এই উপাদান।
৫) ত্বক টান টান করে
কমলালেবুর খোসায় রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড। যা ফ্রি র্যাডিক্যালের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ফলে ত্বক সহজে বুড়িয়ে যায় না। অল্প বয়সে বলিরেখা পড়ার ভয়ও থাকে না।