পুরুষদের ত্বকের যত্নের সহজ টিপ্স। ছবি: ফ্রিপিক।
পুরুষদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার মানে হল জল দিয়ে মুখ ধোওয়া আর শীতকালে মাঝেমধ্যে ময়শ্চারাইজ়ার মাখা। জানেন তো, পুরুষদের ত্বক মহিলাদের চেয়ে বেশি তৈলাক্ত হয়? সারাদিন রোদে, ধুলো-ধোঁয়ার মধ্যে ঘুরে ছেলেদের ত্বকের দফারফা হয়ে যায়। কিন্তু সেই অর্থে তাঁরা নিজেদের খেয়াল রাখেন না। এতে ত্বক আরও বেশি তৈলাক্ত ও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। অল্পেই খসখসে হয়ে যায় ত্বক। দাড়ি কাটার পরে র্যাশ, চুলকানি হয়। তার পরেই গালে, নাকের পাশে উঁকি দিতে থাকে ব্রণ। ব্ল্যাকহেডসের সমস্যাও দেখা দেয় ছেলেদের। তাই ছেলেরা ত্বকের যত্ন নিন। বেশি কসরত করতে হবে না। মেনে চলুন সহজ পাঁচ টিপ্স।
১) সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রথম কাজ হওয়া উচিত ‘ক্লিনজিং’। মানে ত্বক পরিষ্কার করা। এক্ষেত্রে হালকা কোনও ক্লিনজার দিয়েই মুখ ধুয়ে নিন। তাতেই ত্বকে লেগে থাকা তেল, ময়লা সব পরিষ্কার হয় যাবে। এইভাবে অফিস বা বাইরের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পরও ভালভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। দিনে দু’বার ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারলে ভাল। মুখ পরিষ্কার থাকলেই ব্রণর সমস্যা কমে যাবে।
২) মুখ ধোয়ার পরে পরবর্তী কাজ হল ভাল করে ময়শ্চারাইজ়ার লাগানো। তাতে ত্বক থাকবে ভিতর থেকে কোমল। ত্বক ভিতর থেকে কোমল, মসৃণ রাখতে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা ছাড়া উপায় নেই। তাই দিনে অন্তত এক বার হলেও ময়শ্চারাইজ়ার ব্যবহার করুন ছেলেরা। এখন তো ছেলেদের জন্য আলাদা ময়শ্চারাইজ়ারও বেরিয়ে গিয়েছে। ত্বক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী ময়শ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে পারেন।
৩) সানস্ক্রিন কিন্তু খুব জরুরি। সানস্ক্রিন সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে দাগছোপ পড়বে না।
৪) যত বেশি জল খাবেন, ত্বক তত সতেজ থাকবে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে বেশি করে জল খাওয়া জরুরি। শরীরে জলের পরিমাণ যদি কমে যায়, তা হলে ত্বকও জেল্লা হারাতে শুরু করবে। তার চেয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৫) দাড়ি কাটার পরে ত্বকে র্যাশ, চুলকানি, জ্বালাভাব হয় অনেক ছেলেরই। গালে লালচে দাগ দেখা দেয়। ত্বক চিকিৎসকেদের পরামর্শ, দাড়ি কাটার পরেই গাল ভাল করে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন সাবান বা শেভিং ক্রিম যেন গালে লেগে না থাকে। গালের চুলকানি কমাতে কার্যকরী হতে পারে অ্যালো ভেরা জেল। দাড়ি কাটার পরে জ্বালা কমাতে অ্যালো ভেরা জেল ব্যবহার করতেই পারেন। তা ছাড়া আরও একটি ভাল উপায় হল টি ট্রি তেল ব্যবহার করা। এই এসেনশিয়াল অয়েলের নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক নরম, মসৃণ হবে। র্যাশের সমস্যা দূর হবে।