অভিনয় ছাড়াও ক্যাটরিনা কাইফ তাঁর মসৃণ ত্বকের জন্য চর্চায় থাকেন। ছবি: সংগৃহীত।
অভিনয় ছাড়াও ক্যাটরিনা কাইফ চর্চায় থাকেন, তাঁর দাগছোপহীন, মসৃণ ত্বক এবং ঝলমলে চুলের জন্য। ৪০ ছুঁইছুঁই অভিনেত্রী নিজস্ব মেকআপ প্রসাধনীর সংস্থা থাকলেও নিজের ত্বক এবং চুলের যত্নে তিনি একেবারে ঘরোয়া উপাদানের উপরেই ভরসা করেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের রূপচর্চা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, তাঁর সকাল শুরু হয় তরল প্রোবায়েটিক খেয়ে। সেই তরল প্রোবায়োটিক পানীয় তৈরি করতে হয় আদা দিয়ে। তবে আদা কিন্তু প্রোবায়োটিক নয়। তা সত্ত্বেও অন্ত্রের ভাল ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে আদা। প্রতি দিন সকালে অন্তত পক্ষে তিন গ্লাস সেই পানীয় খেয়েই দিন শুরু করেন টাইগার ৩-এর অভিনেত্রী।
অনেকেই মনে করেন, শুধু মাত্র দুগ্ধজাত খাবারে প্রোবায়োটিক থাকে। আসলে তা নয়। অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার, আচারও প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। আদাকে প্রোবায়োটিক হিসেবে গণ্য করা না গেলেও, কন্দজাতীয় এই সব্জিটি প্রোবায়োটিকের মতোই কাজ করে। খাবারে আদা যোগ করলে তা কোন কোন উপকারে লাগে?
আদার মধ্যে রয়েছে জিঞ্জারল। এই উপাদানটি একাধারে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, আবার অন্য দিকে প্রদাহনাশকও। যা ত্বকের কালচে দাগ, ছোপ দূর করতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। ফলে চুলের ফলিকলগুলি উদ্দীপিত হয়। নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। রক্তে ইনসুলিন ক্ষরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে আদা। বিপাকহার উন্নত করতেও সাহায্য করে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন আদা?
রান্নায় মশলা হিসেবে আদা ব্যবহার করা ছাড়াও ডিটক্স পানীয় হিসেবেও ব্যবহার করা যায় এই কন্দটি। জলে আদা ফুটিয়ে, তার মধ্যে সামান্য মধু দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। শীতে খুশকির সমস্যা দূরে রাখতে তেলের সঙ্গে আদার রস মিশিয়ে মাথায় মাখতে পারেন। এতে চুল ঝরে পড়ার পরিমাণও কমবে।