কর্ণ জোহরের হাতে সেই ‘ব্যাগ’। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
ব্যাগের সোনালি হাতলটা হাতে ধরে আছেন কর্ণ জোহর। তাঁর মুখে অদ্ভুত একটা হাসি। ব্যাগটাকে তিনি তুলে ধরেছেন বুকের উচ্চতায়। তাই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ব্যাগের গা বেয়ে গলে পড়া বড় বড় সোনালি ফোঁটা। শূন্যে পড়ে ছিটকেও গিয়েছে ফোঁটাগুলি। দেখামাত্রই অনেকের সেই সোনারঙে হাত ছোঁয়াতে ইচ্ছে হতে পারে। কর্ণ অবশ্য ওই হাসিতেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, এ জিনিস দূর থেকে দেখার এবং তারিফ করার। হাতে ধরার ক্যারিশমা শুধু তাঁরই আছে।
বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের একটি শিল্প সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে ওই ব্যাগ হাতে হাজির হয়েছিলেন কর্ণ। বাণিজ্যসফল বলিউডি ‘মশালা ফিল্ম’ তৈরিতে সিদ্ধহস্ত কর্ণ ব্যক্তিজীবনে বরাবরই শিল্পের সমঝদার। তাঁর নান্দনিকতাবোধের ছাপ যেমন তাঁর সিনেমায় পড়ে, তেমনই কর্ণের সাজগোজ, পোশাক-আশাকেও তা দেখা যায়। মাঝৎমধ্যেই ফ্যাশনে অভিনবত্ব এনে চমকে দেন। যেমন চমকে দিয়েছেন বৃহস্পতিবারও ।
মুম্বইয়ের ওই শিল্প সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে কর্ণ যে ব্যাগটি নিয়ে এসেছিলেন সেটি আদপেই ব্যাগ নয়। ব্যাগের মতো দেখতে একটি ভাস্কর্য। যা তৈরি করেছেন শিল্পী সঞ্জু বিড়লা। প্যারিসে ওই ভাস্কর্যের প্রদর্শনী ছিল। সেখান থেকেই সেটি সংগ্রহ করেছেন কর্ণ।
ব্যাগ থেকে গলানো সোনা গড়িয়ে পড়ছে— ভাস্কর্যটিকে এক কথায় বোঝাতে গেলে এটুকুই বলতে হয়। তবে যে ব্যাগ থেকে সোনা গড়িয়ে পড়ছে সেই ব্যাগ যেমন তেমন নয়। ব্যাগের দুনিয়ার নামী সংস্থা হার্মিজ়ের বার্কিন ব্যাগ। যে ব্যাগের দাম শুরুই হয় ২০ লক্ষ টাকা থেকে। বার্কিন ব্যাগ হাতে কর্ণকে আগেও দেখা গিয়েছে। তবে এ বার তাঁর বার্কিন প্রেমকে অন্য মাত্রাতেই নিয়ে গিয়েছেন কর্ণ। তিনি ব্যাগের বদলে বার্কিনের ভাস্কর্য হাতে পৌঁছেছেন শিল্পের অনুষ্ঠানে।
বৃহস্পতিবার ওই অনুষ্ঠানে কর্ণ পরেছিলেন একটি ক্রিম রঙের ডবল ব্রেস্টেড ব্লেজ়ার, একই রঙের প্যারালাল প্যান্ট। কলারে একটি ব্রোচও ছিল পরিচালকের। সেটি দেখতে পুরনো দিনের টেলিফোনের ডায়ালের মতো। হাতে ছিল সোনালি বড় আংটি। কর্ণের রুচিবোধের ছাপ ছিল পুরো সাজগোজেই। তবে গলে পড়া সোনার ব্যাগ সমস্ত আলো একাই ছিনিয়ে নিল।