জাহ্নবী কপূর। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
শাড়ি, না সমুদ্রের ঢেউ! আঁচলে ছোট বড় মুক্তোর লহর। পাড় লুটিয়ে রয়েছে মৎস্যকন্যার মতো। কাঁচুলিতে মুক্তো আর স্ফটিকের ছড়াছড়ি। আলোর এক একটা বিন্দু প্রতিফলিত হয়ে ঝিকিয়ে উঠছে। ঝলমল করছেন ওই শাড়িতে সজ্জিত জাহ্নবী কপূরও।
তাঁর আসন্ন ছবি ‘দেভারা’য় সৈকতকন্যার ভূমিকায় দেখা যাবে জাহ্নবী কপূরকে। ছবির প্রচারে তাঁর প্রতিটি পোশাকেই থাকছে সমুদ্রের ছোঁয়া। কখনও মুক্তো, কখনও সমুদ্রনীল, কখনও সোনালি বালির রং। যে শাড়িটি নিয়ে আলোচনা, সেটির রং অবশ্য সাদা। নাম ‘মুনডাস্ট’ অর্থাৎ ‘চন্দ্রধূলি’। তবে নাম যা-ই হোক, ওই শাড়ি পরা জাহ্নবীকে দেখে মনে হচ্ছে যেন কোনও মৎস্যকন্যা শরীরে জড়িয়ে নিয়েছেন ফেনিল সমুদ্রকে।
শাড়িটি তৈরি করেছেন পোশাকশিল্পী গৌরব গুপ্ত। গৌরব বরাবরই ভারতীয় সংস্কৃতিকে ভিন্ন ভাবে তাঁর পোশাক এবং গয়নায় ধরার চেষ্টা করেন। তাঁর নকশা করা পোশাকে কখনও বৈদিক দর্শনের অনুষঙ্গ দেখা যায়, কখনও বা দেখা যায় সূর্যদেবকে, কখনও উঁকি দেয় সমুদ্র। ‘দেভারা’র প্রচারে যে শাড়িটি পরেছেন জাহ্নবী, সেটি একটি হাফশাড়ি। এই ধরনের শাড়ি পরার প্রচলন রয়েছে দক্ষিণ ভারতে। যদিও জাহ্নবীর হাফশাড়িটি প্রথাগত হাফশাড়ির মতো দেখতে নয়। বরং হঠাৎ দেখলে মনে হবে মারমেড (মৎস্যকন্যা) স্কার্ট আর মুক্তোয় বোনা ব্রালেটের সঙ্গে একটি স্বচ্ছ ওড়না জড়িয়ে নিয়েছেন শরীরে। যার গায়ে মুক্তো দিয়ে আঁকা ঢেউ।
গৌরব শাড়িটি প্যারিস ফ্যাশন উইকের অটম কালেকশন জন্য বানিয়েছিলেন ২০২৩ সালে। সেই কালেকশনের নাম ছিল ‘হিরণ্যগর্ভ’। জাহ্নবীর জন্য সেই শাড়িটিরই আরও কিছুটা ভারতীয়করণ করেছেন তিনি। গৌরব জানিয়েছেন, শাড়িটি বানাতে ছোট-বড় আড়াই হাজার মুক্তো ব্যবহার করেছেন তিনি। আর ব্যবহার করেছেন হাজারখানেক স্ফটিক। ১০ জন কারিগর ৬০০ ঘণ্টা কাজ করেছেন শাড়িটি তৈরি করার জন্য।