চড়া মেক আপ যদি করতে না চান, তা হলে কিন্তু লিপস্টিক দিয়েই আপনি সেরে ফেলতে পারেন সম্পূর্ণ সাজ! ছবি: শাটারস্টক।
অফিসের পর প্রিয়জনের সঙ্গে ডেটে যাবেন? অথচ অফিসে আসার তাড়ায় মেক আপের ব্যাগটাই আনতে ভুলে গিয়েছেন। হাতে সম্বল কয়েকটি মাত্র লিপস্টিক? চড়া মেক আপ যদি করতে না চান, তা হলে কিন্তু লিপস্টিক দিয়েই আপনি সেরে ফেলতে পারেন সম্পূর্ণ সাজ! বিভিন্ন প্রসাধনীর বদলে কেবল লিপস্টিক ব্যবহার করেই নজর কাড়তে পারেন প্রিয়জনের! ভাবছেন কী ভাবে?
ব্লাশ হিসাবে: ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে নিয়ে খানিকটা ক্রিম লাগিয়ে নিন। এতে ত্বক শুষ্ক দেখাবে না। তার পর লিপস্টিকের কেরামতিতেই লাগিয়ে ফেলুন ব্লাশ। গালে হালকা করে লিপস্টিক লাগিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিলেই হয়ে যাবে ব্লাশের কাজ।
লিপ গ্লস: অনেক সময়ে লিপস্টিক ভেঙে যায় কিংবা গলে যায়। তখন আর ব্যবহার করা যায় না। সে ক্ষেত্রে গ্লস হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন লিপস্টিক। খাপ থেকে লিপস্টিক বার করে পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে দারুণ গ্লস। যদি সঙ্গে ম্যাট লিপস্টিক থাকে আপনার পোশাকের সঙ্গে তা মানানসই না হলে লিপস্টিকের উপরেই লাগিয়ে নিতে পারেন পেট্রোলিয়াম জেলি।
কনট্যুর ও হাইলাইটার: গাঢ় বাদামি বা কফি রঙের লিপস্টিক সঙ্গে আছে? তা হলে তা দিয়েই করে ফেলতে পারেন কনট্যুরিং। নাক, চোয়ালের হাড়, কপালে গাঢ় রঙের লিপস্টিক লাগিয়ে মেক আপ ব্লেন্ডারের সাহায্যে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মুখ হয়ে যাবে একেবারে তীক্ষ্ণ।
আইশ্যাডো: লিপস্টিক দিয়ে চোখের উপরেও কারসাজি করা সম্ভব। আইশ্যাডো হিসাবেও লিপস্টিকের ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে ন্যুড শেডের লিপস্টিক দিয়ে ভাল করে বেস মেক আপ করে নিন। এর পর পোশাকের সঙ্গে মানানসই রঙের লিপস্টিক দিয়ে আইশ্যাডো লাগান। ঠিক মনে হবে আপনি ক্রিম আইশ্যাডো ব্যবহার করেছেন।