ছবি: সংগৃহীত
দেখতে দেখতে চলে এল পুজো। পুজোর মূল পর্ব অর্থাৎ, ষষ্ঠী থেকে দশমী— এই পাঁচটি দিনের উদ্যাপন কেমন হবে, তা ছকে ফেলছেন। সকলেই ব্যস্ত শারদ সাজে নিজেকে ব্যস্ত। পুজোর সাজ যখন, তখন তো আলাদা হতেই হবে। নয়তো পুজোর ভিড়ে আলাদা করে নজর কাড়া কিন্তু মুশকিল। পুজোর ফ্যাশানেও চাই আলাদা কায়দা। সাজগোজ যদি ব্যতিক্রম না হয়, সকলের নজর কেন থাকবে আপনার উপর? শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার-কামিজ, পশ্চিমী পোশাক, ইন্দো-ওয়েস্টার্ন, ফিউশন— শারদ সাজে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কমবেশি সকলেই পরবেন। এ বার পুজোয় আলাদা সাজে নিজেকে মেলে ধরতে বিভিন্ন পোশাকের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন স্কার্ফ।
ষষ্ঠীর সন্ধ্যায়। বন্ধুদের সঙ্গে বেরোবেন। কিন্তু শাড়ি পরতে ইচ্ছা করছে না। তা হলে বিকল্প হিসাবে কুর্তি অথবা জিন্স পরতে পারেন। কিংবা হাঁটু ঝুল কুর্তির সঙ্গে লেগিংস বদলে পরে নিতে পারেন গোড়ালির কাছে শেষ হয়ে যাওয়া জিন্সগুলি। কুর্তির সঙ্গে মানানসই একটি স্কার্ফ নিয়ে নিলেন। তবে কুর্তির উপর যদি কিছু নকশা করা থাকে, সে ক্ষেত্রে একরঙা স্কার্ফ নিতে পারেন। একরঙা কুর্তি হলে ফুলছাপ বা অন্য কোনও নকশা করা স্কার্ফ নিয়ে নিন। কী ভাবে স্কার্ফ পরছেন, সেটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। যেমন-তেমন করে নিলে কিন্তু সাজটাই মাটি।
পুজো মানেই প্রতি দিন শাড়ি পরতে হবে, এমন কিন্তু কোনও ব্যাপার নেই। যে ধরনের পোশাকে আপনি স্বচ্ছন্দ, পরতে ভাল লাগে এমন পোশাকই বেছে নিন। এত জমকালো পোশাকের ভিড়ে একটু অন্য রকম সাজ আপনি হয়ে উঠতে পারেন শারদসুন্দরী। শুধু একটু মাথা খাটাতে হবে। হাঁটু ঝুল ফুলছাপ স্কার্ট কিন্তু দারুণ মানাবে। সঙ্গে পরুন স্মার্ট টি-শার্ট কিংবা ট্যাঙ্ক টপ। গলায় জড়িয়ে নিন একটি স্কার্ফ। এমন বোহেমিয়ান লুকে পুজোর ভিড়ে সকলের নজর থাকবে আপনার উপরেই।
এ বার পুজোয় জগার্স কিন্তু বেশ জনপ্রিয়। শাড়ি, আনারকলির সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিচ্ছে পশ্চিমী পোশাকও। সারা বছর ব্যবহার করা যায় এমন পোশাকের চাহিদা বেশি। জগার্স সেই তালিকায় এগিয়ে আছে। পুজোর সকালে কাছেপিঠে কোথাও যেতে ক্রপ টপ দিয়ে জগার্স পরে নিতে পারেন। সঙ্গে গলায় ঝুলিয়ে নিলেন একটি স্কার্ফ।
‘ওয়ান পিস’ জামার সঙ্গেও বেশ মানাবে স্কার্ফ। ধরুন একরঙা কোনও হাঁটু ঝুল জামা পরেছেন। সাজের মাধুর্য বাড়িয়ে দিতে পারে নকশা করা কোনও স্কার্ফ। লম্বা ঝুল জামার সঙ্গে স্কার্ফ নিলেও বেশ সুন্দর দেখাবে।