সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে কখনও কখনও ত্বকের উপর ছোট ছোট গোলাকার গাঢ় রঙের দাগ দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত
সাধারণ ভাবে রোদের তাপে ত্বক পুড়ে যাওয়া বলতে আমরা যা বুঝি, সান স্পট তার থেকে কিছুটা আলাদা। আমাদের ত্বকে মেলানোসাইট বলে এক ধরনের রঞ্জক কোষ থাকে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে কখনও কখনও এই কোষগুলি দ্রুত হারে বিভাজিত হতে থাকে। আর তার ফলেই ত্বকের উপর ছোট ছোট গোলাকার গাঢ় রঙের দাগ দেখা যায়। এ ছাড়া কখনও কখনও হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অতিদ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়। চিকিৎসক যদি বলেন সমস্যা গুরুতর নয়, তবে সে ক্ষেত্রে এই সানস্পট কমাতে কিছু ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগতে পারে।
অ্যালো ভেরা
অ্যালো ভেরায় থাকে অ্যালোসিন এবং অ্যালোইন নামের দু’টি উপাদান। ত্বকে রঞ্জক পদার্থের অতিরিক্ত সঞ্চয় কমাতে অত্যন্ত কার্যকর এই উপাদানগুলি। অ্যালো ভেরা গাছ থাকলে তার শাঁস বার করে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন পরিষ্কার জল দিয়ে। প্রতি দিন নিয়ম করে এই পদ্ধতি কাজে লাগালে দ্রুত কমে আসবে সান স্পট।
লেবু
একটি কাপে ৪ ভাগের ১ ভাগ জল নিয়ে তাতে একটি পাতি লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এর পর একটি তুলো, তাতে ভিজিয়ে মুখের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় মিশ্রণটি মেখে নিন। ৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ভাল করে মুখ মুছে ময়েশ্চারাইজার মাখুন। তবে যাঁদের ত্বক বেশি স্পর্শকাতর, তাঁরা একটু সাবধানে লেবু মাখবেন। কারণ, লেবুতে যে অ্যাসিড থাকে, তাতে ত্বকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
গ্রিন টি
স্বাস্থ্যরক্ষার পাশাপাশি ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতেও এখন অনেকেই গ্রিন টি ব্যবহার করেন। আসলে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের দাগছোপ নির্মূল করতে অত্যন্ত কার্যকর। একটি কাপে গরম জল নিন, তার পর একটি টি ব্যাগ তাতে চুবিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ব্যাগটি তুলে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন। টি ব্যাগ ঠান্ডা হয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় লাগান। দিনে বার দুয়েক এই কাজ করলেই কমে আসবে দাগ।